আলমডাঙ্গায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামী শ্রীঘরে

আলমডাঙ্গা ব্যরো: প্রথম স্ত্রীর পিতার গ্রামে প্রেম করে ২য় বিয়ে করায় স্ত্রীর দায়েরকৃত মামলার আসামি হয়ে শ্রীঘরে গেলেন আলমডাঙ্গা চরপাড়ার দেলোয়ার। গতকাল শুক্রবার কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ দেলোয়ারকে তার খালাবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে খবর দিলে সন্ধ্যায় দেলোয়ারকে কুষ্টিয়া থেকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ নিয়ে যায়।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার চরপাড়া গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে দেলোয়ার (৩০) ৫ বছর আগে কুষ্টিয়ার ইবি থানার রাধানগর গ্রামের মৃত জোয়াদ আলীর মেয়ে রেখার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার সুখের চলছিলো। বিয়ের ৪ বছরের মাথার স্ত্রী রেখার পিতার গ্রামে বেহাল মণ্ডলের মেয়ে পারভীনের সাথে দেলোয়ারের প্রেমসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের প্রেম ২-৩ মাস না পেরাতেই গোপনে দেলোয়ার পারভীনকে বিয়ে করে। দেলোয়ার পারভীনকে বিয়ে করে রেখাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে রেখা কোনো কূল-কিনারা না পেয়ে আদালতে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলা করে। রেখার দায়েরকৃত মামলায় আদালত দেলোয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরয়ানা জারি করে। পলাতক আসামি হিসেবে দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর গতকাল কুষ্টিয়া মডের থানা পুলিশ দেলোয়ারের খালাবাড়ি কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আলমডাঙ্গা থানায় খবর দিলে আলমডাঙ্গা থানার এএসআই আমির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সন্ধ্যায় দোলোয়ারকে নিয়ে যান। আজ শনিবার তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হতে পারে বলে থানা পুলিশ জানিয়েছে।