চুয়াডাঙ্গায় ৪ নেতাকে ঘেরাও করলেও যুক্তি দেখিয়ে মুক্তি

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ঝিনাইদহে পালন

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের গণমিছিল কর্মসূচি চুয়াডাঙ্গায় পালিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অদূরবর্তী গেটের সামনে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী সমবেত হতে থাকেন। স্থানীয়রা এ তথ্য জানিয়ে বলেছে এ সময় একদল পুলিশ কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে সেখানে হাজির হয়। কর্মীদের প্রায় সকলেই দৌঁড়ে পালায়। জেলা বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মজু, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি এম জেনারেল ইসলামসহ ৪ জনকে পুলিশ ঘেরাও করে। পরে অবশ্য ৪ জনকেই ছেড়ে দেয়া হয়।

পুলিশ বলেছে, মিছিলসহ নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। মজিবুল হক মজু সেখানে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্যরা সরে পড়ার চেষ্টা করে। পুলিশ ৪ জনকে ঘেরাও করে। শুরু হয় কথা বাগবিতণ্ডা। প্রায় আধাঘণ্টা চলে কথাবার্তা। এরক পর্যায়ে পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে পুলিশ বলেছে, মিছিল বা নাশকতা নয়, কয়েকজন হাসপাতালে রোগী দেখার জন্য সেখানে অবস্থান করছিলেন। প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পরই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। মুজিবুল হক মজু অভিন্ন মন্তব্য করে বলেছেন, আমরা রোগী দেখতে যাওয়ার বিষয়টি বলে পুলিশকে বোঝাতে সক্ষম হলে পুলিশ আমাদের ছেড়ে দেয়।

এদিকে ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইদহে গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে দলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের কেপি বসু সড়কের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এমএ মজিদের নেতৃত্বে গণমিছিলটি বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাকলাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখোনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, আগামী ২৬ মার্চের আগেই এ স্বৈরাচারী সরকারের পতন হবে। তাই দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।