গাংনীতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রেমিকা ধর্ষণ অভিযোগ

গাংনী প্রতিনিধি: প্রেমের প্রলোভনে দেহভোগের অভিযোগে প্রেমিক রিপন হোসেনের (২৬) নামে থানায় ধর্ষণ অভিযোগ করেছেন পরস্ত্রী। তিনি তার দীর্ঘদিনের প্রেমিকা বলেও স্বীকার করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে মেহেরপুর গাংনী থানায় তিনি লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। প্রেমিক প্রেমিকা দুজনই গাংনী থানা হেফাজতে রয়েছেন। রিপন হোসেন গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের স্কুল শিক্ষক জালাল উদ্দীনের ছেলে। প্রেমিকার বাড়ি পীরতলা গ্রামে।

প্রেমিকার অভিযোগ, নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন সময় থেকে রিপনের সাথে তার প্রেমসম্পর্ক। এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করা অবস্থায় কয়েক মাস আগে তার অন্যত্র বিয়ে হয়। কিন্তু রিপনের সাথে সম্পর্কের কারণে স্বামী তাকে তালাক দেয়। রিপন তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরির সুযোগে প্রেমিকার দেহভোগ করে। প্রায়ই তারা দুজনের বিভিন্ন স্থানে সাক্ষাত করতেন। গতকাল বিকেলে পীরতলা গ্রামের ভোগল মিয়ার ঘরের মধ্য থেকে তাদের দুজনকে আটক করেন গ্রামবাসী। খবর পেয়ে ছেলে মেয়ের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। গ্রামবাসী বিয়ের প্রস্তাব দিলে তাতে সাড়া দেয় প্রেমিকার পরিবার। কিন্তু রিপনের পরিবার রাজি না হলে ছেলেমেয়ের পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। সামাজিক বিচার পণ্ড হয়। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী প্রেমিক যুগলকে পীরতলা পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করেন। রাতেই তাদেরকে দুজনকে গাংনী থানা হেফাজতে নেয়া হয়।

পীরতলা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ উপপরিদর্শক সুবির কুমার জানান, ধর্ষণের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত একটার দিকে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই প্রেমিকা। তবে অভিযোগ দায়েরের পর থেকে রিপনের পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের জন্য আলোচনার সময় চাওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকালে থানায় দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা মিটিং হবে। সমঝোতা না হলেও ধর্ষণ মামলাটি রেকর্ড করে রিপনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ এবং মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে।

Leave a comment