চুয়াডাঙ্গায় গাছচোর সিন্ডিকেট বেপরোয়া : গাছশূন্য হয়ে পড়ছে রাস্তা : সরকারি রাস্তার লাখ লাখ টাকার গাছ উধাও

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গাছচোর সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রধান প্রধান সড়কসহ সদর উপজেলার কয়েকটি মফস্বল এলাকার সরকারি রাস্তার গাছ অবাধে চুরি হয়ে যাচ্ছে। পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। অস্ত্রধারী গাছচোরদের প্রতিরোধের সাহস পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। একের পর এক গাছ চুরির ফলে ইতোমধ্যে একটি রাস্তা গাছশূন্য হয়ে পড়েছে। এভাবে গাছ চুরি অব্যাহত থাকলে শিগগিরই আরো কয়েকটি রাস্তার গাছ উজাড় হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

এলাকা ঘুরে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের দু ধারে প্রায় ১৫ বছর আগে সড়ক বিভাগ গাছ লাগায়। ঘোড়ামারা ব্রিজ থেকে বোয়ালমারী পর্যন্ত দু কিলোমিটার রাস্তার গাছ বছর দুয়েক আগে থেকে কাটতে শুরু করে চোরচক্র। রাতের বেলায় একের পর এক গাছ চুরি হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো সময় দিনদুপুরেও গাছ কাটতে দেখা যায়। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলুকদিয়া বাজার থেকে ভালাইপুর বাজার পর্যন্ত দু কিলোমিটার রাস্তার লাখ লাখ টাকার গাছ ইতোমধ্যে কেটে সাবাড় করে দিয়েছে চোরচক্র। তবে একটি গাছচোর চক্র পুলিশের হাতে ধরা পড়ার এখানে এখন গাছ চুরি থেমে আছে। চোরদের দৌরাত্ম্যে জালশুকা-ফুলবাড়ি গ্রামীণ রাস্তার গাছ উজাড় হওয়ার উপক্রম। এ রাস্তার গাছ প্রায় প্রতি রাতেই চুরি হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো ফল পায়নি এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী মহল জানায়, রাতে গাছ চুরি হয় আর দিনের বেলা গাছের মোথা তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে একটি চক্র। তাদেরকে কিছু বললেই নানাভাবে হুমকি আসে। স্থানীয় হিজলগাড়ি কেরুজ খামারের ওয়াসম্যান জহির বলেন, চোরচক্র খুবই ভয়ঙ্কর। তাদেরকে প্রতিরোধ করতে গেলে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাড়া করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফুলবাড়ি গ্রামের একজন জানালেন, একেকটি গাছের মূল্য ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। চোরেরা ইলেকট্রিক করাত ব্যবহার করে ওই সব কেটে নিয়ে যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী ছয়ঘরিয়া-বড়শলুয়া রাস্তার লাখ লাখ টাকার গাছ বছর খানেক আগেই কেটে সাবাড় করে ফেলেছে চোরেরা। ফলে এ রাস্তাটি এখন গাছশূন্য। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, স্থানীয় ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মুহিতকে বারবার বলার পরেও তিনি বিষয়টি কানে নেন না। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম কামরুজ্জামান মাথাভাঙ্গাকে বলেন, স্থানীয় ফাঁড়িকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।