মেহেরপুরে ধর্ষণের দায়ে আরিফুলের যাবজ্জীবন

 

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে ধর্ষণের দায়ে আরিফুল ইসলাম (২৭) নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রবিউল হাসান। ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যে আরিফুল ইসলাম দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ বিচারক ওই আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৬ মে রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের বাদল সেখের ছেলে আরিফুল ইসলাম প্রতিবেশীর মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ২০ মে ২০০৯ সালে ধর্ষিতা বাদী হয়ে মেহেরপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ আলীর আদালতে অভিযোগ পেশ করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ আলী ২০০৯ সালের ১৬ জুন লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে একই বছর ১২ আগস্ট মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর ১৮ আগস্ট আসামি আরিফুল ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক তার জামিন মঞ্জুর না করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন আইন/২০০০(সংশোধিত) ২০০৩-এর ৯(১) ধারায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রবিউল হাসান। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য। অপর দিকে আসামিপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন অ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন।