মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার পল্লিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দু গ্রামে দু স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রামনগর ও এনায়েতপুর গ্রামে গতকাল মঙ্গলবার পৃথক দুটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহের কারণে অভিমান করে দু স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করে। তবে অন্য কারণের কথাও বলছেন কেউ কেউ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলাধীন গাংনী ইউনিয়নের রামনগর মালিতাপাড়ার আবুল কাশেম ও চায়না খাতুনের মেয়ে আয়েশা খাতুন (১৩) ছিলো স্থানীয় মাথাভাঙ্গা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। গত সোমবার পারিবারিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে পিতা তাকে বকাঝকা করেন। গ্রামের কেউ কেউ বলেছেন প্রাইভেট শিক্ষকের ৩ মাসের বকেয়া বেতন চাইলে ভাই ও পিতা আয়েশাকে কটূক্তি করেন। এই ক্ষোভে-অভিমানে সোমবার রাতের কোনো এক সময় জানালার গ্রিলের সাথে নিজের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে আয়েশা আত্মহত্যা করে। গতকাল সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
অপর আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে একই উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়নের এনায়েতপুর স্কুলপাড়ায়। গ্রামের ইউনুস আলী ও আক্তার বানুর মেয়ে মৌসুমী খাতুন (১৫) ছিলো এনায়েতপুর-বাড়াদী মীর খোস্তার আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলো। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নিজেদের ঘরে বাঁশের আড়ার সাথে নিজের ওড়না গলায় পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। পরিবারের দাবি মৌসুমীর গায়ে জিনের আছর ছিলো। তবে এ কথা মানতে নারাজ সচেতনমহল। মৌসুমীর বান্ধবীরা বলেছে, তার অঙ্ক পরীক্ষা ভালো না হওয়ার কারণে কদিন ধরে মন খারাপ ছিলো। এ কারণেও সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত ছাড়াই আয়েশার লাশ বিকেলে এবং মৌসুমীর লাশ গতরাতে দাফন করা হয়েছে বলে গ্রামসূত্রে জানা গেছে। পৃথক দুটি আত্মহত্যার ব্যাপারে থানায় দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।