আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ একাডেমী কেন্দ্রের ১১ এসএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কারের প্রতিবাদ

শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি পেশ : তদন্ত কমিটি গঠন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ একাডেমী স্কুলকেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে আসন বদল করে বসার অভিযোগে বহিস্কৃত ১১ পরীক্ষার্থীর বহিষ্কার অবৈধ দাবি করে আন্দোলনে নেমেছেন তাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকরা। ঘটনার দিন থেকে তারা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল রোববার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করা হয়। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

DSC06655

জানা গেছে, বহিষ্কৃত ১১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭ জন পরীক্ষার্থী, একই উপজেলার সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ জন পরীক্ষার্থী ও বটিয়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন পরীক্ষার্থী রয়েছে। খাসকররার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম সিদ্দিক এবং সপ্তগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর তুলনায় কম প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছিলো। আর তাই কক্ষ পরিদর্শকরা একই প্রশ্নে দুজনকে পরীক্ষা দেয়ার জন্য অনুমতি দেয়। ওই সময় আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে ১১ ছাত্রকে বহিষ্কার এবং দুজন কক্ষ পরিদর্শকের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, বহিষ্কৃত ১১ পরীক্ষার্থীর কোনো অপরাধ ছিলো না। তারা অবিলম্বে ছাত্রদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি যাদের অবহেলার কারণে এ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রাজ্জাক। তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেন, এ ঘটনায় ১ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কর্মদিবসে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়া হবে। অপরদিকে যোগাযোগ করা হলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে বলেছেন, আইন অবশ্যই আইনের গতিতেই চলবে। প্রশ্নপত্র সঙ্কট হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। কারণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হিসেবে করেই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তাছাড়া কোনো হলপরিদর্শক বা হলসুপার কি ওই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন? তদন্ত করে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই শক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে।