অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১ উইকেটে জিতল নিউজিল্যান্ড

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অস্ট্রেলিয়ার পর ছন্নছাড়া ব্যাটিং করেছে নিউজিল্যান্ডও। ১৫২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৩.১ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে এক প্রকার ধুঁকতে ধুঁকতে জয় পেলো কিউইরা। মির্ডল ওর্ডার ব্যাটসম্যান ক্যান উইলিয়ামসনের হার না মানা ৪৫ রানের সুবাদে এক উইকেটের জয় পায় তারা। এর আগে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ম্যাককলাম ২১ বলে ঝড় তুলে অর্ধশতক রানে আউট হন। ম্যককলাম ও গুপটিলের উদ্বোধনী দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি থেকে আসে ৪০ রান। মাঝে অ্যান্ডারসনের সাথে ৫২ রানের জুটি গড়েন ক্যান। এ দু জুটির সুবাদে জয় পায় কিউইরা। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্টের তোপের পর নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল স্টার্ক হয়ে উঠেন মূর্তিমান আতঙ্ক। তিনি একাই ২৮ রানে নেন ৬ উইকেট।  কমিন্স পান ২ উইকেট। ম্যাককলাম ও ক্যান ছাড়া নিউজিল্যান্ডের কোনো ব্যাটসম্যান উইকেটে থিতু না হতেই ক্রমাগত সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া গুপটিলের ১১ ও আন্ডারসনে ২৬ ছাড়া আর কেউ দু অঙ্কের ঘরে পৌছুতে পারেননি।

এর আগে অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় অস্ট্রেলিয়া। নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং তোপে ৩২.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া করে ১৫১ রান। ২২ ওভারে ১০৬ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর শেষ ব্যাটসম্যান প্যাট কমিনসকে নিয়ে ব্র্যাড হাডিন ৪৫ রানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি গড়েন। হাডিন ব্যক্তিগত ৪৩ রানে আউট হন। অস্ট্রেলিয় ইনিংসের এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট ২৭ রানে ৫ ও টিম সাউদি ৬৫ রানে নেন ২ উইকেট। বিশ্বকাপে আগের তিন খেলায় শ্রীলঙ্কা, স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডকে হারায় নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ম্যাচে হারায় ইংল্যান্ডকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের পরের ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।