স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দু শিশুসহ ১০ জন বিষপান করা রোগী ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জেলা বিভিন্ন স্থানে ৮ জন আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের সম্প্রতি বিয়ে হওয়ায় স্বামী-স্ত্রী মনোলিন্যের কারণে বিষপান করে। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের অসাবধনতায় বিষপান করেছে দু শিশু।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুর গ্রামের তককেল আলীর ছেলে হাসিবুল (৩৫) পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। একই উপজেলার গোয়ালবাড়ি গ্রামের জুল হকের স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৪৫) সংসারের খুঁটিনাটি নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়া করে বিষপান করে। নজরুল ইসলামের ছেলে জনি (২৫) কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছে। এখন স্ত্রী তার সংসারে আসতে চাইছে না। এজন্য বিষপানে জনি আত্মহত্যার অপচেষ্টা চালায়। দামুড়হুদার ফকিরপাড়ার জিয়াউর রহমানের জিয়ার স্ত্রী সালমা খাতুন (২০) বিষ পান করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কিছু দিন আগে বিয়ে হয়েছে। সালমা এখন স্বামী সংসারে থাকবে না। এ নিয়ে তার পারাবারিকভাবে অশান্তি লেগেই আছে। মনের দুঃখে সালমা বিষ পান করে পরপারে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। লোকনাথপুরের মুনসুর আলীর ছেলে আয়ুব আলী (২০) বিষপান করেছে। নতুন বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী আসছে না। তাই সে মনের দুঃখে বিষপান করে।
দামুড়হুদা বাজারপাড়ার আব্দুল মালেকের মেয়ে স্কুলছাত্রী শামিমা আক্তার মায়ের সাথে অভিমান করে বিষ পান করে। চুয়াডাঙ্গা সদর আলুকদিয়ার আনোয়ার হোসেনের ছেলে রকির (২৫) স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় রকি বিষ পান করে। চুয়াডাঙ্গা শহরতলী দৌলাতদিয়াড়ের মন্টুর ছেলে শাহিন (৩৫) পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষ পান করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের অসাবধানতায় দামুড়হুদার মুক্তারপুরের সালামের ছেলে আজিম (৫) ও জীবননগর মনোহরপুরের টুটুল ইসলামের মেয়ে লামিয়া (৫) বিষপান করে। তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।