চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইলফোন চুরি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে টাকা ও মোবাইলফোন চুরি করে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পড়েছে এক কিশোরীসহ মহিলা চোরচক্রে সদস্য। অন্যরা পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে। পরে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলনের চেম্বারের সামনে যখন রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। ঠিক সে সময়ই জীবননগর শিয়ালমারী গ্রামের আমির হোসেনের স্ত্রী রোজিনা খাতুনের মোবাইলফোন হারিয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে হতাশ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সন্তানের চিকিৎসা নিতে আসা আলমডাঙ্গার পারলক্ষ্মীপুর গ্রামের মিঠুর স্ত্রী কামরুন নাহার। তার ব্যাগ থেকে ১৪-১৫ বছর বয়সী মেয়ে টাকা বের করে পালানো সময় চোখে পড়লো ওই মহিলার স্বামীর। পিছু নিয়ে হাতেনাতে ধরার আগেই টাকা অন্য এক মহিলার হাতে। সে দ্রুত সটকে পড়ে। হাতেনাতে ধরা পড়ে টাকা নেয়া মেয়েটি। চড়থাপ্পড় মারতে ছুটে আসে অপর এক মহিলা। তিনি জানান, মেয়েটি আমার ভাগ্নি, চোর নই। আমরাও রোগী দেখাতে এসেছি। মুহূর্তে হাসপাতালে হইচই পড়ে যায় চোর চোর। এরপর তাদের নেয়া হয় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাসুদ রানার রুমে। ডা. মাসুদ রানা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা জানায়, মহিলা বলে আমার নাম লাইজু। স্বামী মনির হোসেন। বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরামপুর কেডিসি রোডের পূর্ব স্কুলপাড়ায়। থাকি কুষ্টিয়া পোড়াদহ স্টেশন এলাকায়। মেয়েটির নাম সেলিনা খাতুন আমার ভাগ্নি। আমরা এসেছি আমার ছেলে তুহিনের চিকিৎসার জন্য।
এদিকে মিঠু জানান, আমার স্ত্রীর ব্যাগ থেকে ওই মেয়েটিকে টাকা নিতে দেখেছি। ওদেরকে তল্লাশি করলে পাওয়া যাবে। অভিযুক্তরা অস্বীকার করলে ডা. মাসুদ রানা একট মহিলাকে দিয়ে তল্লাশি করলে তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইলফোন পাওয়া যায়। ততোক্ষণে মোবাইল হারানো রোজিনা সেখানে উপস্থিত হয়ে বলে লাল রঙের ফোনটি আমার। নাম্বার বলে রিং দিলে মিলে যায় ফোনটি রোজিনার। পরে তারা সরল স্বীকারোক্তি দেয় সপ্তায় তিনদিন এ হাসপাতালে আসি। ট্রেনের ভেতরসহ বিভিন্ন স্থানে ভিড়ের ভেতরে আমরা সুযোগ পেলে মানুষের ব্যাগ থেকে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে নিই। বাকি দুটি মোবাইলফোনের কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, আসার সময় ট্রেনে ভেতর থেকে চুরি করা হয়েছে। আমাদের আরও বেশ কয়েকজন সদস্য আছে। তাদের কথা শুনে ডা. মাসুদ রানা পুলিশে খবর দিলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই কাজী নাসিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আটক করে থানায় নেয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকেলে মামলাসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়।