পদক্ষেপ নিচ্ছে বিজিবি : এবার মহাসড়কে সশস্ত্র টহল
স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা ফেরার পথে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেআর পরিবহনের একটি এসি কোচ। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে জাফরপুরস্থ ৬ বিজিবি সদর দপ্তরের ১ ও ২ নং গেটের মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে দুপুরে ছেড়ে আসা জেআর পরিবহনের এসি কোচটি (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৭১৯৮) বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত ক্যান্টিন পার হয়ে ২০/২৫ গজ সামনে এগোতেই রাস্তার পাশে অন্ধকারে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা একাধিক কংক্রিটের টুকরো বাসটিকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। কংক্রিটের টুকরোর আঘাতে কোচটির সামনের কাঁচ (উইন্ডশিল্ড) এবং ৩টি জানালার কাঁচ ভেঙে যায়। তবে বাসে কোনো যাত্রী না থাকায় এ ঘটনায় কেউ আহত হবার খবর পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে ৬ বিজিবির পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামান দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তার নির্দেশে চলন্ত বাসে হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে গোটা এলাকায় শুরু হয় যৌথ অভিযান। বিজিবি প্রধান কার্যালয়ের সামনে কেন এ হামলা? এক প্রশ্নের জবাবে এসএম মনিরুজ্জামান জানান, জাফরপুরে (দেশ স্বাধীনের আগে ইপিআর, পরে বিডিআর বর্তমানে বিজিবি) হেডকোয়ার্টার স্থাপনের পর থেকে অর্থাৎ প্রায় ৪৫ বছর যাবত সামনের রাস্তায় আমাদের নিজস্ব আলোর ব্যবস্থা ছিলো না। সন্ধ্যার পর প্রায়ই ছোটখাটো সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যেতো। তাছাড়া রাতে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সামনের রাস্তায় (বিজিবি আওতাধীন এলাকার সামনে) উচ্চ প্রতিফলক শেডে সিএফএল বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়। ৯টি শেড লাগানোর পর রাস্তার কিছু অংশ বাকি ছিলো। অসমাপ্ত অংশের কাজ আজ বুধবার শেষ হওয়ার কথা। গতরাতে রাস্তায় অসমাপ্ত অংশটুকুই ছিলো অন্ধকার। হামলাকারীরা ওই এলাকা থেকে সুযোগ নিয়েই বাসে ইট মারার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দীর্ঘদিনের অন্ধকার থাকা রাস্তায় রাতে আলোর ব্যবস্থা করায় হয়তো দুর্বৃত্তরা অসুবিধায় পড়তে যাচ্ছে, এ কারণেও বাসে ঢিল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটতে পারে। আবার হতেও পারে, এটি পূর্বপরিকল্পিত বা নাশকতার উদ্দেশে ঘটানো হয়েছে। তবে যাই হোক না কেন। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। আর এখন থেকে এ এলাকাসহ আশপাশের রাস্তায় রাতের বেলায় থাকবে জওয়ানদের সশস্ত্র টহল। যেকোনো নাশকতা মোকাবেলায় জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করা হবে বলেও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিজিবির এ কর্মকর্তা।