আলমডাঙ্গা ব্যুরো: অভিভাবকের সহযোগিতায় ১ দালালসহ ৫ কিশোরকে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের সামনে থেকে আটক করেছে থানা পুলিশ। কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার মালিহাদের গ্রামের আদমব্যাপারী বাবু মেম্বার তাদেরকে পানিপথে বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে নিয়ে আসে।
জানা গেছে, মিরপুর উপজেলার মালিহাদ গ্রামের চিহ্নিত আদমব্যাপারী বাবু মেম্বার পার্শ্ববর্তী আলমডাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম ওসমানপুরের কিশোর ও যুবকদের দীর্ঘদিন ধরে পুরো বাকি টাকায় পানিপথে মালেশিয়ায় পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলো। এদের অনেকেই ৭০-৮০ হাজার টাকা মাসিক বেতনের প্রলোভনে পাসপোর্ট-ভিসা ব্যতীত ও সম্পূর্ণ বাকি টাকায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায়নি। কিন্তু পানিপথে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার পথে ওই এলাকার বেশ কয়েকজন কিশোরকে নির্মমভাবে হত্যা করে সাগরে নিক্ষেপের ঘটনায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানের পানিপথে বিদেশ যেতে দিতে কেউ সম্মতি দিচ্ছেন না। এমতাবস্থায় আদমব্যাপারী বাবু মেম্বার তার প্রলোভনের জালে জড়িয়ে পড়া কিশোরদের পরিবারের কাউকে কিছু না বলে চুরি করে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে উপস্থিত হতে বলে। কথা মতো বাবু মেম্বারের সহযোগী তার চাচাতো ভায়রা মিরপুর উপজেলার মেহেরনগরের আতিয়ারের ছেলে সেন্টু (৩৫) ওসমানপুরের ৫ কিশোরকে গত শনিবার রাতে সাথে নিয়ে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে হাজির হয়। এরা হলো- সেকেন্দার মোল্লার ছেলে রিপন, কামাল মোল্লার ছেলে রানা, কাবের আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম, মহিদুল ইসলামের ছেলে লাড্ডু ও আশার ছেলে সালমান। তাদের সকলেরই বয়স প্রায় ১৫-১৬ বছর।
এদিকে বিকেল থেকে খুঁজে না পেয়ে তাদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে এ কিশোরদের অপেক্ষা করতে দেখে দ্রুত আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিভাবকদের সহযোগিতায় ৫ যুবকসহ দালালের ১ সহযোগীকে আটক করেছে। এ বিষয়ে লাড্ডুর পিতা মহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মানবপাচার মামলা দায়ের করেছেন। আজ সোমবার বাবু মেম্বারসহ অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে দায়েরকৃত সংশ্লিষ্ট মামলায় ওই ৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হবে।