স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় সদর উপজেলায় ২য় পর্যায়ে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প- দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামের পীরপুর মাঠে কৃষক রানা বিশ্বাসের জমিতে ব্রি-২৮ ধানের চারা রোপণ করা হয়।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এ পদ্ধতিতে কৃষকদের বিঘাপ্রতি এক হাজার টাকা সাশ্রয় হবে। এতে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দিয়েছে। ধানের চারা রোপণ যন্ত্রটি দিয়ে প্রতিঘণ্টায় ১ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করা যাবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রকিবুল ইসলাম। এ কৃষিবিদ আরও জানান, প্রদর্শনী এ প্লটের জন্য ২৫ দিন আগে বীজতলা তৈরি করা হয়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিনের সাহায্যে চারা রোপণের জন্য এর প্রতিটি ট্রেতে ২শ গ্রাম ধান থেকে যে পরিমাণ চারা উৎপন্ন হয় ঠিক সেই পরিমাণ চারা নেয়ার পর মেশিন চালু করলে সারিবদ্ধভাবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রোপণ হয়ে যায় ধানের চারা। অবশ্য এর জন্য প্রয়োজন একজন অপারেটর বা চালক।
আর চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নির্মল কুমার দে জানালেন, ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমাদের কৃষি ব্যবস্থা আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। কৃষক এ ধানের চারা রোপণ যন্ত্র দিয়ে অল্প সময়ে অধিক কাজ করতে পারবেন। এতে যেমন কমবে ধানের উৎপাদন খরচ, তেমন ভালো হবে ফসলের মান। তিনি আরও জানান, সরকার ভর্তুকি দিয়ে এ যন্ত্র কৃষকদের হাতে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পীরপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাকিমুর রহমান, প্রদর্শনী প্লটের মালিক মনিরামপুর গ্রামের কৃষক রানা বিশ্বাসসহ গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আগ্রহী কৃষক। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান।