তৈরি হচ্ছে ইকো পার্ক : এলাকায় খুশির জোয়ার

দামুড়হুদার শিবনগর আমবাগান ও বটতৈল বিলের দৃশ্যপট বদলানোর নকশা চূড়ান্ত

 

রফিকুল ইসলাম: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের শিবনগর আমবাগান ও তৎসংলগ্ন বটতৈল বিলকে কেন্দ্র করে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইকো পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানান, ইকো পার্কটি তৈরি সম্পন্ন হলে এটি হবে দেশের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও দর্শনীয় পিকনিক স্পট এবং পর্যটন কেন্দ্র।

Chuadanga IKO PARK 17-02-15

প্রস্তাবিত ইকো পার্কের বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বটতৈল বিলের পাশে আমবাগানে এক সুধীসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল করিম, স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুস সবুর ও শিক্ষক সেলিম উদ্দিন। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজ কুমার পাল ও নাজির হামিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে শিবনগর আমবাগানের ৪৬ দশমিক ৫৩ একর আমবাগান ও ৭৬ দশমিক ৭০ একর বটতৈল বিল সবমিলে ১২৩ দশমিক ২৩ একর জমি নিয়ে ইকো পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাগানটিতে মাত্র ৮৫টি আম, ৪৫টি কাঁঠাল ও ২৫টি লিচু গাছ ছিলো। ইকো পার্কের কথা মাথায় রেখে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে সেখানে ৬৫০টি হিমসাগর ও ১৫০টি কাঁঠালগাছ লাগানো হয়েছে। গাছগুলোর নিয়মিত পরিচর্যা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য রাস্তার উন্নয়ন ও শৌচাগার নির্মাণকাজ অব্যাহত রয়েছে।

ইউএনও বলেন, বর্তমানে শিবনগর বাগানটির ইজারামূল্য ১০ লাখ টাকা হলেও ইকোপার্ক বাস্তবায়নের পর গাছের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামীতে রাজস্ব আদায় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু বলেন, শিবনগর আমবাগানসহ আশপাশের জমিজমা ও সম্পত্তির মালিক জমিদার নফর চন্দ্র পাল। তার সেই স্মৃতি বিজড়িত স্থানে ইকো পার্ক তৈরির বিষয়ে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। এলাকাবাসীকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।

সরকারি উদ্যোগে ইকো পার্ক তৈরির খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। পার্ক তৈরির সম্ভাব্য প্রাথমিক খরচ হিসেবে এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এ পার্কটি বাস্তবে রূপ পেলে এ এলাকার নাম দেশ ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়বে। মানুষ চিত্ত বিনোদনের নির্মল পরিবেশ খুঁজে পাবে।