স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আনসার অ্যাডজুটেন্ট মজিবর রহমান ও আনসার-ভিডিপি অফিসার মো. আজাদের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার নামে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের ইছাহক আলী বলেছেন, ২০ হাজার টাকাই শুধু দিইনি তথ্যমন্ত্রী জাতীয় সংসদের হুইপের সুপারিশও করিয়ে দিয়েছিলাম। কিছুতেই কিছু হয়নি। যারা বেশি টাকা দিয়েছে তাদেরই চাকির দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এছাহক আলীর।
আবুল হোসেনের ছেলে ইছাহক আলী লিখিত অভিযোগপত্রে বলেছেন, তিন মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। বহুদিন ধরে আনসার অ্যাডজুটেন্ট ও ভিডিপি অফিসারের নিকট ঘুরছি। চাকরি পাওয়ার আশায় ২০ হাজার টাকা দিলাম। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলামান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকে দিয়ে সুপারিশ করিয়ে নিলাম। কিছুতেই কিছু হলো না। সুপারিশ থাকা শর্তেও চাকরি না দিয়ে তিনজনের কারো নিকট থেকে ৭০ হাজার কারো নিকট থেকে দু লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন অ্যাডজুটেন্ট। আর আমি চাকরি না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরে ঘুরে হতাশ তিন কন্যাকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমি প্রতিকার চাই।
ইছাহক আলী এ অভিযোগ গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা দফতরে হাজির হয়ে লিখিতভাবে করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আনসার অ্যাডজুটেন্ট ও ভিডিপি অফিসারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।