বান্ধবীর অনৈতিক কাজে সহযোগিতা : এক স্কুলছাত্রীর বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা

স্টাফ রিপোর্টার: বান্ধবীর অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ায় লজ্জা সইতে না পেয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে আফরোজা খাতুন (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রী। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আফরোজা বলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এবং ওই গ্রামের আশাবুল হকের মেয়ে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের পাশে একটি বাথরুমে অনৈতিক কাজ করছিলো বলিয়ারপুর গ্রামের ইখলাস উদ্দীনের মেয়ে আছমা খাতুন ও পার্শ্ববর্তী সোনাপুর গ্রামের যুবক মিঠুন। আর বাথরুমের সামনে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলো আছমার বান্ধবী আফরোজা। এ সময় কয়েকজন যুবক এসে আফরোজার কাছে জানতে চায়- তুমি বাথরুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছো কেন? আফরোজা জানায়, আমি পাহারা দিচ্ছি। যুবকরা বলে, কি পাহারা দিচ্ছো? একপর্যায়ে ভয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় সে। আফরোজার আচরণে সন্দেহ তৈরি হয় ওই যুবকদের মনে। তারা বাথরুমের দরজা খুলে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকা অবস্থায় হাতেনাতে আটক করে আছমা ও মিঠুনকে। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকায় জানাজানি হয়ে যায় ঘটনাটি। এ নিয়ে বিকেলে গ্রামে সালিস বৈঠক হয়। সালিসে এলাকার মাতবরদের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ জরিমানা দিয়ে ছেলে ও মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যায় তাদের পরিবারের লোকজন। তবে সালিস বৈঠকে হাজির হয়নি আছমার বান্ধবী আফরোজা। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে ছিলো সে। তার অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। সালিস বৈঠক ও লোকজানির ঘটনা আফরোজার কানে পৌঁছায়। ভয়ে বাড়িও ফিরতে পারছে না সে। বিকেল ৫টার দিকে লজ্জা সইতে না পেরে সে বিষপানে আত্মহত্যার অপচেষ্টা করে। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।