ঝিনাইদহের চোরকোল গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী আনতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার চুয়াডাঙ্গার নিশান

স্টাফ রিপোর্টার: বছরখানেক আগে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে পড়ালেখা করার সময় সহপাঠী তানিয়া খাতুনের (২৪) সাথে প্রেম হয় আমিনুল হাসান নিশানের (২৫)। প্রেমের একপর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করে। কিন্তু প্রথম দিকে দু পরিবারের কেউই তা মেনে না নেয়ায় পালিয়ে ঘর-সংসার শুরু করে তারা। তানিয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চোরকোল গ্রামের বালাই ধাপকের মেয়ে আর নিশান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র দোয়ারপাড়া গ্রামের হারুনুর রশীদের ছেলে।
জানা গেছে, পালিয়ে থাকার একপর্যায়ে ৩-৪ মাস পর পরিবারের সম্মতিতে স্ত্রী নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে নিশান। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়ই তানিয়ার ওপর র্নিযাতন করতো শাশুড়ি হোসেনে আরা। কয়েকদিন আগে এমন খবর জানতে পেরে তানিয়াকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে যায় তার পরিবারের লোকজন। গত শনিবার রাতে ঝিনাইদহের চোরগ্রামে শ্বশুরবাড়িতে তানিয়াকে আনতে যায় নিশান। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে জানায়, বাড়ি গিয়ে তোমার মাকে পাঠাও। তবে তানিয়াকে না নিয়ে বাড়ি ফিরতে নারাজ স্বামী নিশান। গতকাল বিকেলে নিশানকে সাথে নিয়ে বাড়ির পাশে বাজারগোপালপুরে যায় চাচাশ্বশুর মিয়াজান। বাজারে বসে তানিয়াকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চাচা শ্বশুরের সাথে কথা বলে সে। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে চাচাশ্বশুর ও তাদের পক্ষের লোকজন নিশানকে ধরে গণধোলাই দেয়। মারতে মারতে নিশানকে একটি আলমসাধুতে উঠিয়ে দেয় তারা। খবর পেয়ে নিশানের পরিবারের লোকজন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।