সস্ত্রীক কর্মস্থলে যাওয়ার পথে পিরোজপুরের কাউখালীতে দুর্ঘটনা
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ১ম বিয়ে বার্ষিকীর দিনে মেহেদীর পরিবর্তে স্বামীর রক্তের লাল আল্পনায় নববধূ কনিকার হাত রঙিন হলো। দুজন একত্রে বিয়েবার্ষিকী পালনের জন্য কনিকার স্বামী আনারুল ইসলাম (২৮) নিজ বাড়ি আলমডাঙ্গার হারদী থেকে সস্ত্রীক কর্মস্থল পিরোজপুর জেলার কাউখালীতে যাওয়ার পথে রাজাপুর নৈকাঠিতে বাসচাপায় তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা হারদী গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে আনারুল ইসলাম পিরোজপুর জেলার কাউখালীতে অলিম্পিক কোম্পানিতে চাকরিরত। আনারুল ১ বছর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি আলমডাঙ্গার চক বণ্ডবিল গ্রামের রেজাউল হকের মেয়ে কনিকা খাতুনকে বিয়ে করেন। গতকাল রোববার ছিলো আনারুল-কনিকা দম্পতির প্রথম বিয়েবার্ষিকী। তাই নিজ বাড়ি হারদী গ্রাম থেকে কর্মস্থল পিরোজপুরের কাউখালীতে যাচ্ছিলেন তারা।
গতকাল রোববার সকালে ঝালকাঠি-পিরোজপুর মহাসড়কের রাজাপুরের নৈকাঠি এলাকায় বাসচাপায় নিহত হন আনারুল। কনিকা খাতুন জানান, তাকে নিয়ে কাউখালী যাচ্ছিলেন। গতকাল রোববার সকালে রাজাপুরের নৈকাঠি এলাকায় এলে রাস্তা পার হওয়ার সময় বরিশাল থেকে পিরোজপুরগামী নুরনোহা পরিবহনের একটি বাস (পাবনা-ব-৬৫) তাকে ধাক্কা দিলে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় তিনি আনারুলকে উদ্ধার করে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজাপুর থানার ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে নিহত আনারুলের পরিবার জানিয়েছে, আনারুলের লাশ বাড়ি নিয়ে আসা হচ্ছে। আজ সোমবার সকাল ৮টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। আতিয়ার রহমানের দু সন্তানের মধ্যে আনারুল ইসলাম ছিলেন বড়। বড় সন্তানের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকে পাগলপ্রায় বাপ-মা। আত্মীয় পরিজনের আহাজারিতে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।