স্টাফ রিপোর্টার: সাংবাদিকদের দেখার ভুল নাকি কম্পিউটার কম্পোজে এজাহার লেখায় ভুল? ভুল যেখানেই হোক, চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উদ্ধারকৃত ঘুমের ইনজেকশনের অ্যাম্পুল সংখ্যার তারতম্য নিয়ে বিভ্রান্তি কেটেছে।
সাংবাদিকদের দাবি পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর তা ঠিক করা হয়েছে। কম্পিউটার কম্পোজের এজাহার বাদ দিয়ে শেষ পর্যন্ত হাতে লেখা এজাহারই রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, তথ্য নেয়ার সময় সাংবাদিকরা ৪০ গুণ ১৫ তথা ৬শ অ্যাম্পুল লেখা না দেখেই ৪০ অ্যাম্পুল ঘুমের ইনজেকশন বলে পত্রিকায় খবর প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের অদূরবর্তী নান্টুরাজ সিনেমাহলের নিকট থেকে ঘুমের ইনজেকশনসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের এক পাচারকারীকে পাকড়াও করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা। গতপরশু বিকেলে ঘুমের ইনজেকশনসহ আটককৃতকে ওইদিনই মামলাসহ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এজাহারে ৪০ অ্যাম্পুল উল্লেখ করা হয়েছে বলে পুলিশেরই এক অফিসার জানান। অথচ আটককৃত ব্যক্তির দাবি ছিলো তার নিকট থেকে ৬শ অ্যাম্পুল ঘুমের ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গাসহ স্থানীয় পত্রিকায় ৬শ অ্যাম্পুল ঘুমের ইনজেকশন হয়ে গেলো ৪০ অ্যাম্পুল বলে সংবাদ পরিবেশন করে। দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর থেকে জানানো হয়, ৬শ অ্যাম্পুল ইনজেকশন দিয়েই আটককৃতকে থানায় দেয়া হয়েছে। থানায় খোঁজ নিতে গেলে বিকেলে অবশ্য হাতে লেখা এজাহারে ১৫ গুণ ৪০ মোট ৬শ অ্যাম্পুল ইনজেকশনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। তখন সাংবাদিকদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে, দেখার ভুল নাকি কম্পোজের সময় এজাহারে ভুল ছিলো? দেখার ভুল হলে অবশ্য আগামীতে আরো সতর্ক দৃষ্টি দিয়েই এজাহার পড়তে হবে। তুলে রাখতে হবে ছবি। বাড়তি অসতর্কতায় ভুলে বিভ্রান্তির জন্য ত্রুটি মার্জনীয়।