দর্শনা মদনার পরকীয়া জুটি মনি-ময়নার লাশ গাজীপুর থেকে উদ্ধার

ঘর-সংসার ছেড়ে গার্মেন্টসে চাকরি : স্ত্রীকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামীর আত্মহত্যা

 

স্টাফ রিপোর্টার/দর্শনা অফিস: পরকীয়া প্রেমে মজে ঢাকার গাজীপুরে পাড়ি জমিয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পূর্বে লাশ হয়েছে দর্শনা মদনার ঘরপালানো জুটি মনি ও ময়না। গাজীপুর জয়দেবপুর থানার মনিপুর মধ্যপাড়ার একটি বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রী দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ময়নার লাশ ঘরের মধ্যে পড়ে ছিলো। মনিরের লাশ ঘরের সিলিঙের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ঝুলছিলো। সুরতহাল শেষে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের মদনা মাঝেরপাড়ার আহম্মেদ আলীর ছেলে এক সন্তানের জনক মনিরুল ইসলাম মনি একই গ্রামের পুরাতন সেন্টারপাড়ার তাবারক আলীর মেয়ে এক সন্তানের জননী ময়না খাতুনের সাথে পরকীয়া প্রেমসম্পর্ক গড়ে তোলে। ভালোবাসার টানে দু মাস আগে অজানা ঠিকানায় পাড়ি দেয় এরা। মনি ও ময়না সন্তান সংসার ফেলে অজানা ঠিকানায় পাড়ি জমালেও তাদের অবস্থানের ঠিকানা অজানায় ছিলো নিজ আত্মীয়স্বজনের কাছে। গতকাল সকালে এ দুজনের লাশ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। অবশ্য গ্রামের কয়েকজন বলেছেন, হত্যা এবং আত্মহত্যার লাশ শুক্রবার উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে সেখানে অবস্থানরত এলাকার কয়েকজন লাশ মদনায় নেয়ার প্রক্রিয়া করে। তবে কখন নাগাদ লাশ মদনায় নেয়া সম্ভব হবে তা নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি।

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই হারুন-অর রশিদ জানান, নিহতদের গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায়। মনিরুল-ময়না দম্পতি হোতাপাড়া এলাকার মনিপুর মধ্যপাড়ার জনৈক হানিফের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় এলিগেন্ট পোশাক কারখানায় (গার্মেন্ট) চাকরি করতেন। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরের মেঝে থেকে ময়না বেগমের এবং ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় মনিরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে সন্ধ্যার পর কোনো এক সময় ওই ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে হত্যা বা আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।