গাংনীতে ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার সেজে মোবাইল টাউয়ার মেরামত করতে গিয়ে যুবক গ্যাঁড়াকলে

গাংনী প্রতিনিধি: মোবাইল টাউয়ারের ভুয়া ইঞ্জিনিয়ার সেজে টাউয়ারের যন্ত্রপাতি মেরামত করতে গিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছেন গাংনীর সাদ্দাম হোসেন (২৩) নামের এক যুবক। দু সহযোগী পালিয়ে গেলেও তাদের বহনকৃত একটি মাইক্রোবাস ও চালক ফারুক হোসেনকে আটক করেছে স্থানীয় লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার রাইপুর বাজারে। আটক দুজন এবং মাইক্রোবাসটি গাংনী থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

টাউয়ার ভবন মালিক রাইপুর গ্রামের পল্লি চিকিৎসক শমশের আলী জানান, বিকেলে সাদ্দাম হোসেনসহ ৩ যুবক একটি মাইক্রোবাসযোগে (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৪-৪৯১৯) রাইপুর বাজারে তার ভবনের সামনে এসে থামে। তিন তলা ভবনের ওপরে অবস্থিত টেলিটকের টাউয়ার কক্ষে মেরামত কাজের জন্য কক্ষের চাবি দাবি করেন। যুবকদের আচরণ ও কথাবার্তার গরমিল হলে শমশের আলী তাদের সঠিক পরিচয় জানতে চান। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে সাদ্দামের দু সহযোগী পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সাদ্দামকে আটক করেন। আটক করা হয় মাইক্রোবাসহ চালক ফারুক হোসেনকে। তার বাড়ি গাংনী উপজেলার কামারখালী গ্রামে। খবর পেয়ে গাংনী থানার একটি দল ঘটনাস্থল থেকে সাদ্দাম ও ফারুককে আটক করে গাংনী থানা নিয়ে আসেন। একই সাথে জব্দ করা হয় মাইক্রোবাসটিকে।

শমশের আলী আরো জানান, গত দুই সপ্তা আগে কয়েকজন প্রতারক যুবক এসে টাউয়ারের ইঞ্জিনিয়ার দাবি করে মেরামতের কথা বলে তার নিকট থেকে চাবি নিয়ে যায়। তারা চার হাজার টাকার তার চুরি করে সটকে পড়েছিলো। ওই ঘটনার পর থেকে টাউয়ার কর্তৃপক্ষ ও তিনি সতর্ক ছিলেন।

সাদ্দামের পিতা গাংনী বাজার পাড়ার বাবু মিয়া জানান, সাদ্দামের মষ্কিকে সমস্যার বিষয়টি সবার জানা। তাকে ফুঁসলিয়ে অপর দুজন এ কাজ করেছে। সে কখনো কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত না। ওই দুজনের সাথে সাদ্দাম কিভাবে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলো তা ভেবে পাচ্ছেন না সাদ্দামের পরিবার।

মাইক্রোবাসচালক ফারুক হোসেন, তিনি একটি ভাড়া সেরে বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করছিলেন। এ সময় সাদ্দামসহ তিন যুবক এসে ১ হাজার ২শ টাকা ভাড়া ঠিক করেন। এক ঘণ্টার মধ্যে রাইপুর থেকে ফিরে আসার কথা বলে তাদের বহন করে রাইপুরে যাই। তারা কি উদ্দেশে রাইপুরে যাচ্ছে তা তাকে জানানো হয়নি। ওই তিনজনের সাথে তিনি জড়িত নয় বলে জানান সাংবাদিকদের।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন জানান, সাদ্দামের জিজ্ঞাসাবাদে তার অপর সহযোগীদের সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা দিতে পারেনি। একজনের বাড়ি কুষ্টিয়ার এবং অপরজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে।