দামুড়হুদার নতিপোতায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ : ৬ লাখ টাকা দাবি
দামুড়হুদা/নতিপোতা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার নতিপোতা কবরস্থানের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ শেষে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে দু প্রবাসীর বাবাকে। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে নতিপোতা থেকে নিজ গ্রামে ফেরার পথে পার্শ্ববর্তী করিমপুর গ্রামের হায়দার আলী (৫০) ও তাহের আলী (৪৫) নামের দুজন অপহৃত হন।
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার করিমপুর গ্রামের মৃত করিম বক্সের ছেলে হায়দার আলী ও মৃত এলাহীর ছেলে তাহের আলী গত বুধবার সন্ধ্যার পর চা পানের জন্য পার্শ্ববর্তী নতিপোতা মোড়ে যান। চা পান শেষে বাড়ি ফেরার পথে রাত ১০টার দিকে নতিপোতা কবরস্থানের নিকট পৌছুলে মুখোশ পরিহিত ১০/১২ জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী মাঠে নিয়ে যায় এবং ওই দুজনের ব্যবহৃত দুটি মোবাইলফোন ও তাদের পকেটে থাকা টাকা পয়সা কেড়ে নেয়। রাত ১২টার দিকে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা ওই দুজনের বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানাতে বলে এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৬ লাখ টাকা আনতে বলে। পরবর্তীতে ওই দু পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে দুর্বৃত্তদের সাথে দেনদরবার শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিলে দুর্বৃত্তরা রাত ৩টার দিকে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। দুর্বৃত্তরা যাওয়ার সময় ১টি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এদিকে বোমা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ভগিরথপুর ক্যাম্প ইনচার্জ ফারুকুল ইসলাম ও চারুলিয়া ক্যাম্প ইনচার্জ আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং কাউকে দেখতে না পেয়ে ফিরে আসেন। সকালে ঘটনাটি জানতে পেরে ভগিরথপুর ক্যাম্প ইনচার্জ ও চারুলিয়া ক্যাম্প ইনচার্জ অপহরণের শিকার ওই দু বাড়িতে যান এবং ঘটনার বিস্তারিত শোনেন।
গ্রামবাসীর ধারণা, হায়দারের দু ছেলে ও তাহেরের এক ছেলে সিঙ্গাপুরে থাকে। এলাকার অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরায় পূর্বপরিকল্পনা মাফিক এ ঘটনা ঘাটয়ে থাকতে পারে। অপহরণের শিকার ওই দু পারিবারের লোকজন জানান, রাত ১২টার দিকে ফোন আসে, আমাদের মাঠে ধরে নিয়ে এসেছে। তোমরা ৬ লাখ টাকা নিয়ে এসে আমাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাও। পরে অস্ত্রধারী ডাকাতদের মধ্যে একজন কথা বলে দরকষাকষি করে। এক পর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমরা তাদের মুক্ত করে আনি। ঘটনাটি জানতে পেরে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ওই দু পরিবারের লোকজনের সাথে দেখা করে তাদের খোঁজখবর নেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।