রক্ষণশীল এই মুসলিম দেশে সতীত্বের সামাজিক এবং ধার্মিক গুরুত্ব অনেক।
আগে কখনো সে যৌন সম্পর্ক করেনি বিয়ের রাতে তা প্রমাণের জন্য তাই প্রয়োজনে অনেক মেয়ে অস্ত্রোপচারের দ্বারস্থ হয়।
তরুণী মাহনাজ হোসেন ২১ বছর বয়সে ইরানের উত্তরাঞ্চলে এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলো।
মায়ের অনুরোধে পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট দেয়া হয় দুর্ঘটনায় মাহনাজ সতীত্ব হারিয়েছেন।
মাহনাজ জানায়, “দুর্ঘটনায় আমার নিতম্বের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিলো। হাসপাতালে আমি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম। কিন্তু আমার মা ডাক্তারকে বলছিলেন দুর্ঘটনার কারণে আমার সতীত্ব ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে।”
ইরানের সমাজে এখনও অবিবাহিতা মহিলার সতীত্বের গুরুত্ব অনেক।
বহু পরিবার চায় তাদের ছেলের বউকে সতী হতে হবে, অর্থাৎ বিয়ের আগে তার যেন কোনে যৌন সম্পর্ক না হয়।
সতীত্বের প্রমাণ হিসাবে দেখা হয় তার যৌনাঙ্গের ভেতরে একটি পর্দা অক্ষত আছে কিনা। সেই পরীক্ষা করে সনদ দেয় আইএলএমও নামে ইরানের সরকারি একটি মেডিকেল সংস্থা।
চাইলে বিয়ের আগে কনেপক্ষ থেকে সতীত্বের সেই সনদ বরপক্ষের হাতে তুলে দিতে হয়।
অনেক সময় মেয়ের আপত্তি থাকলেও পরিবার জোর করে সতীত্বের পরীক্ষা করিয়ে থাকে।
আর সে কারণে সেই পরীক্ষার আগে সন্দেহ থাকলে অনেক মহিলা অস্ত্রোপচার করে যোনীর পর্দা জোড়া লাগাতেও দ্বিধা করেনা। বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক ইরানে বিশাল কটি অপরাধ। শুধু যে সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ তা নয়, সে ধরণের সম্পর্ক আদালতে প্রমাণিত হলে কঠিন সাজা হয়। বিবিসি বাংলা।