সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার পৃথক স্থানে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী ও ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে ও দুপুরে আইলহাস ও বালিয়াকান্দি গ্রামে পৃথক দুটি বিদ্যুতস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সদরের বালিয়াকান্দির ক্যানেলপাড়ার সুমা মণ্ডলের মেয়ে সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন আক্তার মুন্নি নিজ ঘরে তারের আড়ায় কাপড় রাখতে গিয়ে অসাবধানতায় বিদ্যুতের তারের সাথে ঠেকে গিয়ে আহত হয়। উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে মুন্নির মৃত্যু হয়। মুন্নির লাশ বালিয়াকান্দি গ্রামে নেয়া হলে স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে বাতাস। গতকাল রাতেই তার লাশ নতুন ভাণ্ডারদহ গ্রামের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
অপরদিকে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আলমডাঙ্গার আইলহাস গ্রামের শারমিন আক্তার আসমা (২৫) ও তার স্বামী সুজন নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। আসমা দিনমজুর স্বামীকে ভোরে ডেকে দিতে উঠে মোবাইলফোনে চার্জ দিতে যায়। এ সময় মোবাইলফোন বাস্ট হয়ে ঘরের বৈদ্যুতিক বোর্ডে আগুন লেগে সে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়। সুজন টের পেয়ে বিদ্যুতস্পৃষ্ট ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে উদ্বার করতে জাপটে ধরে। এ সময় সে আছাড় খেয়ে পড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়। ঘটনাস্থলেই আসমার মৃত্যু হয়। রাতেই সুজনকে আহত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা উন্নতির পথে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার আসমার শ্বশুরালয়ে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গ্রামবাসী জানায়, ঘরের বৈদ্যুতিক তার নিম্নমানের ও অদক্ষ মিস্ত্রি দিয়ে ওয়ারিঙের কাজ করার ফলে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।