চিত্রনায়ক সালমান শাহ মৃত্যু ঘটনা পুনঃতদন্ত করবে র‌্যাব

স্টাফ রিপোর্টার: প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ’র মায়ের নারাজির প্রেক্ষিতে সালমান শাহ’র মৃত্যু ঘটনাটি ফের তদন্তের জন্য ৱ্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (ৱ্যাব) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে গতকাল মঙ্গলবার মামলার বাদী নিহত সালমান শাহের মা আদালতে নারাজি আবেদনটি দাখিল করেন।

নারাজি আবেদনে বলা হয়, সালমানের স্ত্রী সামিরা হক, আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ১১ জন এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। আদালতে বাদীর পক্ষে নারাজির আবেদন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মাহফুজ মিয়া। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন।

এ মামলার বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে গত বছরের ৯ জুলাই ঢাকার মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সার্বিক তদন্তে এটি হত্যা বলে প্রমাণিত হয় না। এ ঘটনাটি একটি অপমৃত্যু। এ প্রসঙ্গে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর সালমান শাহের মা নীলা চৌধুরী বলেছিলেন, আমার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। অজ্ঞাত কারণে প্রকৃত সত্য আড়ালে থেকে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ১১/বি নিউইস্কাটন রোডের ইস্কাটন প্লাজার বাসার নিজকক্ষে সালমান শাহকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে প্রথমে হলি ফ্যামিলি ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে সালমান শাহর বাবা কমরউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। মামলা প্রথমে রমনা থানা পুলিশ পরে ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির তদন্ত করেন। তদন্তকালে সালমান শাহর মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

প্রতিবেদনে তারা সালমান শাহর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে বর্ণনা করে। পরে সালমান শাহর পরিবার ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপত্তি দিলে মরদেহ কবর থেকে তুলে ফের ময়নাতদন্ত করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তাদের প্রতিবেদনে মরদেহ অত্যাধিক পঁচে যাওয়ার কারণে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।

ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবির আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।