স্টাফ রিপোর্টার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের আহমেদ হত্যার দায়ে পাঁচজনের ফাঁসি ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি দুজন বেকসুর খালাস পেয়েছেন। গতকাল রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪’র বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা সকলেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- খন্দকার আশিকুল ইসলাম আশিক, মো. রাশেদুল ইসলাম রাজু, খান মো. রইছ ওরফে সোহান, জাহিদ হাসান এবং মাহবুব আকরাম। যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- ইশতিয়াক মেহবুব অরূপ, নাজমুস সাকিব তপু, মাজহারুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সোহাগ, শফিউল আলম সেতু এবং অভিনন্দন কুণ্ডু অভি। তাদেরকে কারাদণ্ডের অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন মো. নাজমুল হুসেইন প্লাবন ও মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ। দণ্ডপ্রাপ্তরাও সবাই জাবির বিভিন্ন ব্যাচ ও বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ১৩ আসামির মধ্যে ৭ জন কারাগারে আটক আছেন। বাকি ৬ জন পলাতক। ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকেলে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ ৪র্থ বর্ষ অনার্স পরীক্ষা শেষে ফেরার পথে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ওইদিন রাতেই রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ভোরে মারা যান জুবায়ের। জুবায়ের হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জুবায়ের হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর পর রায় ঘোষণা করা হলো। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আবাসিক হলের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মদিনাবাগ নাবলাপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম তোফায়েল আহমেদ, মাতার নাম হাসিনা আহমেদ।