স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার গড়গড়ির শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। চুয়াডাঙ্গার মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ধর্ষণ ঘটনার পর থেকে সালিসের নামে শুধু কালক্ষেপণই করা হয়নি, কয়েকজন মাতবরসহ দু কাজি অভিযুক্তের পিতার নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে আত্মসাত করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গড়গড়ির শহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল গত ১৬ জানুয়ারি রুয়াকুলি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের যুবতী মেয়েকে ধর্ষণ করে। স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। যুবতী বিয়ের দাবি তোলে। শফিকুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। সালিসের আয়োজন করা হয়। যুবতীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করে বলে জানা যায়। যুবতী তার মাকে সাথে নিয়ে মানবতা ফাউন্ডেশনে আইনগত সহায়তা চেয়ে আবেদন করে। এ প্রেক্ষিতে মানবতার একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরিদর্শন করে। স্থানীয়দের নিকট থেকে ঘটনার বর্ণনা শুনে অভিযোগের সত্যতা মেলে। অভিযুক্ত শফিকুল নানাভাবে যুবতীকে হুমকিধামকি দিতে থাকে। গতকাল রোববার যুবতী পুনরায় মানবতা ফাউন্ডেশনে মামলায় আইনগত সহায়তা প্রদানের আবেদন করে কান্নায় ভেঙে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মানবতা ফাউন্ডেশন আইনগত সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।