মাথাভাঙ্গা মনিটর: গত বছর ভারতীয় জনতা দলের (বিজেপি) বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম বড় ধরনের পরাজয়ের মুখ দেখছেন নরেন্দ্র মোদী। গত শনিবার অনুষ্ঠিত দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের বুথ ফেরত জরিপে আম আদমি পার্টি (এএপি) নিরঙ্কুশ জয় পাচ্ছে বলে দেখা গেছে। আগামী মঙ্গলবার নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে। ভোট শেষে সাতটি বুথ ফেরত জরিপের গড় অনুযায়ী দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে এএপি ৪২টির মতো আসন পেতে যাচ্ছে। জরিপ অনুযায়ী ফলাফল হলে এএপির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। গত বছরের শুরুতে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু তৎকালীন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ক্ষমতা নেয়ার ৪৯ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছিলেন। ওদিকে দিল্লির নির্বাচনে জয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক পুঁজি বিনিয়োগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। দিল্লির বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিয়ে ভোটারদের কেজরিওয়ালকে প্রত্যাখান করতে বলেছিলেন। দায়িত্ব নেয়ার পর ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ায় কেজরিওয়ালকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাতকারী হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। তবে এতো সব করেও কাজ হয়নি। এক বছর আগের নির্বাচনে ৩১টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নির্বাচিত হয়েছিল বিজেপি, জরিপ অনুযায়ী সেই সংখ্যা কমে এবার দলটি পেতে যাচ্ছে মাত্র ২৬টি আসন। মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর চারটি রাজ্য (হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু ও কাশ্মির) বিধানসভা নির্বাচনের তিনটিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। সেই হিসেবে খোদ রাজধানীতে এতো দৌঁড়ঝাপ করেও বিজেপির এ ফলের পূর্বাভাসকে কেজরিওয়ালের কাছে মোদীর পরাজয় বলেই বিবেচনা করছে বিভিন্ন মহল। কিন্তু দিল্লির রায়কে মোদীর পরাজয় হিসেবে নেয়া ঠিক হবে না বলে দাবি করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শাইনা নানা চুডাসামা (শাইনা এনসি হিসেবে পরিচিত)। অতীতে বুথ ফেরতে জরিপের আভাস অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক হয়নি জানিয়ে শাইনা বলেছেন, গত বছরের জাতীয় নির্বাচনে দেশব্যাপি বিজেপির ভূমিধস বিজয়ের পূর্বাভাস অধিকাংশ জরিপেই পাওয়া যায়নি, তাই এসব জরিপের ফল বিবেচনার দরকার নেই।