চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের ঘোড়ামারা ব্রিজের অদূরে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তের অপতৎপরতা
স্টাফ রিপোর্টার: হাট-ঘাট ইজারা ব্যবসায়ী জেহালা কৃষ্ণপুরের আব্দুল হান্নানকে গুলি করা হলেও লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কের আলোচিত ঘোড়ামারা ব্রিজ ও হাজরাহাটি মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে চলন্ত মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে গুলি করে দু দুষ্কৃতী।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার জেহালা কৃষ্ণপুরের নায়েব আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান হাট-ঘাট ইজারা ব্যবসায়ী। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পৃথক মোটরসাইকেলে ছিলেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আলম। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর থেকে ফেরার পথে ঘোড়ামারা ব্রিজ অতিক্রমের কিছুপরেই রাস্তার পাশে থেকে দু দুষ্কৃতী পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়ে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ঠিকাদার আব্দুল হান্নান প্রাণে রক্ষাপান। তিনি বলেছেন, গুলিটি যেন গায়ে থাকা জ্যাকেটে লেগে চলে গেলো।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আলমডাঙ্গা পশুহাটসহ বিভিন্ন হাট-ঘাটের ইজরা ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান বলেছেন, মোটরসাইকেলে একই ছিলাম। মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রায় প্রতিদিনই চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার লাইট পোস্টগুলো অতিক্রমের আগেই রাস্তার পাশে দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখলাম। ওদেরই একজন গুলি করলো। সম্ভবত পিস্তল দিয়ে গুলি করেছে। গুলিটি লাগেনি। মোটরসাইকেলর গতি বড়িয়ে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি। আমার অদূরেই পৃথক মোটরসাইকেলে ছিলো আমাদের গ্রামেরই আলম। বোয়ালমারি পৌঁছে পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়।
হান্নান আরো জানান, দু ব্যক্তি রাস্তার পাশ থেকে গুলি ছোড়ে। তিনি জানান, আমার মোটরসাইকেলটি আগে থাকার কারণে দুর্বৃত্তদের গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। আমার মোটরসাইকেলটি পেছনে থাকলে নির্ঘাত গুলিটি গায়ে লাগতো। তবে কী কারণে কারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে এ ব্যাপারে হান্নান কিছু বলেননি।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর আগে আলমডাঙ্গার পিটিআই সংলগ্ন মাধবীতলা মোড়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন হান্নান ও তার সহকর্মী খলিলুর রহমান।