স্টাফ রিপোর্টার: সোহাগ গাজী এখন মুক্ত। তার বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি ভারতের চেন্নাইয়ে নিজের বোলিং শুদ্ধিকরণের পরীক্ষা দিয়েছিলেন এই অফ-স্পিনার। শনিবার আইসিসি জানিয়ে দিল, সোহাগ গাজীর বোলিং অ্যাকশনে আর কোনো ত্র“টি নেই। বিশ্বকাপের আগে রায় পেয়ে গাজীর আফসোস হয়তো খানিকটা বেড়ে গেল। তিনি মনে করছেন, তার শরীর থেকে যেন ৫০০ কেজি ওজনের বোঝা নেমে গেছে।
আইসিসি এদিন পাকিস্তানের অফ-স্পিনার সাঈদ আজমলকেও ছাড়পত্র দিয়েছে। গাজী ও আজমলকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফের বোলিং করার অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। বোলিং পরীক্ষায় পাস করার পর কাল সোহাগ বলেন, ‘আমি খুবই খুশি।’ তিনি বলেন, ‘আমার যে কী খুশি লাগছে, তা বলে বোঝাতে পারব না। আমার শরীর থেকে যেন ৫০০ কেজি ওজনের বোঝা নেমে গেছে। ভাগ্য আমার সঙ্গে রয়েছে। এই পরীক্ষায় যদি ফেল করতাম, তাহলে আমাকে এক বছর পেছনে চলে যেত হতো।’ আইসিসি গাজীকে গত বছর ৮ অক্টোবর অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ করে। গাজী মনে করেন, তার মূল সমস্যা ছিল বোলিং করার সময় পা ফেলা নিয়ে। সেটা শুধরে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। বোলিং করার সময় আইসিসি অনুমোদিত মাত্রা ১৫ ডিগ্রির বেশি কনুই বেঁকে গেলে ওই বোলারের অ্যাকশন অবৈধ হয়।
গত বছর আগস্টে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের পর গাজীর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আপত্তি তোলেন আম্পায়াররা। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের কার্ডিফে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেয়ার পর অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিং করার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আইসিসি। নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে তিনি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাননি। বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েন। নিষিদ্ধ হওয়ার পর গাজী স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের কাছ থেকে পরামর্শ নেন। এরপর কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ রুয়ান কালপাগের কাছে বোলিং শুদ্ধিকরণের কার্যক্রম চালান। ২৪ জানুয়ারি ভারতের চেন্নাইয়ের রামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পরীক্ষা দেন এই ডান-হাতি স্পিনার। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শনিবার আইসিসির ছাড়পত্র পেয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে গাজী ও আজমলের বোলিং অ্যাকশন আবার অবৈধ মনে হলে, তা রিপোর্ট করার জন্য আম্পায়ারদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে আইসিসি।
গাজী জানালেন, এখন তার লক্ষ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে জাতীয় দলে ফেরা। তিনি বলেন, ‘আশা করি, আমি দ্রুত আবার জাতীয় দলে ফিরব। এখন এটাই আমার প্রধান লক্ষ্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করতে চাই। আমি এখন চাপমুক্ত হয়ে বলও করতে পারব।’