চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষার প্রথম দিন অতিবাহিত : বাড়তি নিরাপত্তাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জোর নজরদারি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে গতকাল থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার প্রথম দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা মোট ৩৫ জন অনুপস্থিত ছিলো। বহিষ্কারের খবর পাওয়া যায়নি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী প্রথম দিনের পরীক্ষায় সারাদেশে মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থীর অংশ নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭ হাজার ২৭৭ জন পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলো। আর পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে এদিন ৩ জন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়। একই অপরাধে বহিষ্কৃত হয়েছে আরও ১৯ জন শিক্ষার্থী। বিদেশে ৮টি কেন্দ্রসহ এবার ৩ হাজার ১১৬টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ৮টি বোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৯১ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩৮০ জন এবং এসএসসি ভোকেশনালে (কারিগরি) ১ লাখ ১০ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার মোট পরীক্ষার্থী ৯ হাজার ৯০৫ জন। এর মধ্যে পরীক্ষার প্রথম দিনে উপস্থিত হয়েছে ৯ হাজার ৮৭০ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা সদরসহ আলমডাঙ্গা উপজেলার বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষায় নজরদারি করেন। চুযাডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭৮৪ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ৩ জন, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ২ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ৬ জন। ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে কারিগরি ভোকেশনাল পরীক্ষাথী ২৩৫ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলো ১ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসাইন পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হাসানসহ অন্যান্য সহকারী কমিশনাররা বিশেষ নজরদারিতে ছিলেন। পরীক্ষা গত ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হরতালের কারণে তা পিছিয়ে গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও উপকেন্দ্র হিসেবে ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট ৬৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬৪০ জন ও ভোকেশনালে ৫৬ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। কেন্দ্রসচিব ছিলেন সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আকবর আলী, সহসচিব ছিলেন খাড়াগোদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম। কেন্দ্র পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামান।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ এসএসসি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ১ ছাত্রী অনুপস্থিত ছিলো।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪টি কেন্দ্র ও ২টি উপকেন্দ্রে এসএসসি ও ভোকেশনাল এবং ১টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় মোট ২ হাজার ৬৪০ জন পরীক্ষার্থী বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। গতকালের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।
আলমডাঙ্গা বহুমুখি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে মোট ৫৪৬ জন পরীক্ষার্থী। ছেলে ২২৯ ও মেয়ে ৩১৪ জন। অনুপস্থিত ছিলো ৩ জন। আলমডাঙ্গা বহুমুখি মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় দু কেন্দ্রে ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ৩১৭ জন। ছাত্র ২৬৭ ও ছাত্রী ৫০ জন। অনুপস্থিতি ছিলো দুজন। আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৫৭৭ জন। ছাত্র ৩৪৩ ও ছাত্রী ২৩৪ জন। অনুপস্থিত ছিলো দুজন। আলমডাঙ্গা আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ২১১ জন। অনুপস্থিত ৫ জন। মুন্সিগঞ্জ একাডেমী কেন্দ্র ও উপকেন্দ্রে মোট শিক্ষার্থী ৬২৪ জন। অনুপস্থিত ছিলো ১ জন। ছাত্র ৩২২ জন, ছাত্রী ৩২ জন। হাটবোয়ালিয়া কেন্দ্রে ও উপকেন্দ্রে মোট ৩৬৫ জন পরীক্ষার্থী।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলা ১মপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকাল থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান উপজেলার সবকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা জানান, চলতি বছরে এসএসসিতে দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল, দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এ ৪টি কেন্দ্র থেকে উপজেলার ২৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মোট দু হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এছাড়া দাখিলে দামুড়হুদা ডিএস দাখিল মাদরাসা ও কার্পাসডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসা এ ২টি কেন্দ্র থেকে ১১টি মাদরাসার মোট ৪৮২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তবে পরীক্ষার প্রথম দিনে কোনো পরীক্ষার্থীই বহিষ্কার হয়নি। নিরাপত্তার বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য যা যা করার দরকার সেটাই করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৫২ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। দু পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলো। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন। হলসুপারের দায়িত্ব পালন করেন রুহুল আমিন, কেন্দ্রসচিব ফেরদৌস রহমান ও শহিদুল ইসলাম।
অপরদিকে কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল বিএ মাদরাসা কেন্দ্রে ১৯৮ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৯৭ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অনুপস্থিত ছিলো ১ জন। হলসুপারের দায়িত্ব পালন করেন মাও. নুরুল আমিন ও কেন্দ্রসচিব মোহাম্মদ আলী।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় মেমননগর মাধ্যমিক মূলকেন্দ্র ও দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ভেন্যুকেন্দ্রে হিসেবে এসএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। দুটি কেন্দ্রে মেমনগর ও দর্শনা বালিকা বিদ্যালয় ছাড়াও কেরুজ হাইস্কুল, দর্শনা দক্ষিণচাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আলহেরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দামুড়হুদার কামারপাড়া, মদনা ও বড়বলদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫৬১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১ জন ছাড়া সকলেই অংশ নেয়।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলার ৮টি কেন্দ্র ও ৩টি ভেন্যুকেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলার ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭টি মাদরাসা থেকে ১ হাজার ৮৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ১ হাজার ৮২৮ জন। মাত্র দুজন এ পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলো। জীবননগর পাইলট হাইস্কুল, পাইলট বালিকা বিদ্যালয়, হাসাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আন্দুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আলিম আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্র ও ভেন্যুকেন্দ্রে একটানা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এসএসসি পরীক্ষায় ১ হাজার ১৫৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৫৫ জন অংশগ্রহণ করে। অনুপস্থিত ছিলো ১ জন। ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৪২২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ৪২১ জন। অনুপস্থিত ছিলো ১ জন। এছাড়া মাদরাসার দাখিল পরীক্ষায় ২৫২ জন পরীক্ষার্থী সকলেই অংশগ্রহণ করে।
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় সৃজনশীল রচনামূলক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও শেষার্ধে বহু নির্বাচনী প্রশ্নপত্র কক্ষ পরিদর্শক ওলোট-পালোট করে ফেলায় প্রশ্নপত্র প্রদানে বিলম্বতার কারণে পরীক্ষার্থীরা সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি। ভেন্যু-১ কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালের এসএসসি পরীক্ষার্থী নয়ন ইসলাম, রাব্বী, জুয়েল, হৃদয়, রকি, ইমন, মোজাহিদ, নাজমুল, সুজনসহ অনেকেই কেন্দ্রের ২ নং কক্ষপরিদর্শক আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু বাসাদ লিপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে বলে, শেষার্ধে বহু নিবাচর্নী প্রশ্নপত্র ওলোট-পালোট করে আমাদের হাতে তুলে দেন। কর্তব্যরত শিক্ষকের যথাযথ দায়িত্বহীনতার কারণে কিছুক্ষণ পর প্রশ্নপত্র তুলে নেয়া হয়। সঠিক প্রশ্নপত্র প্রায় ২০ মিনিট বিলম্বে পরিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার পর পরিক্ষার্থীরা বলছে, পড়তে লেগেছে ১০ মিনিট, এখানেই ৩০ মিনিট শেষ হয়েছে। বাকি ২০ মিনিটে উত্তর প্রদানে দিশেহারা হয়ে পড়ি। নির্দিষ্ট সময়ে খাতা নেয়ায় আমরা ১০/১২ মার্কের বেশি কেউ উত্তর দিতে পারেনি। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ তুলে ধরে হাত-পা চেপে ধরার পর কর্তৃপক্ষ আমাদের অভিযোগ কোনো কর্ণপাত করেননি। অনেক মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু-১ হলসুপার শাহাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, ৫২ জন ছাত্র ও ৭১ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। অনুপস্থিত নেই। বহুমুখি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যু-২ হলসুপার কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম শরীফ জানান, ১১১ জন ছাত্র ও ২৪ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অনুপস্থিত নেই। বেলা ১১টার দিকে নবাগত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রাজ্জাক, নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেড সাব্বির রাহমান সানি ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান পরীক্ষা কেন্দ্রের ২টি ভেন্যু পরিদর্শন করেন। ভেন্যু-১ কেন্দ্র কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও ভেন্যু-২ কেন্দ্র কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু আফজাল মোহাম্মদ ছালে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে জেলার ১৩টি কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনালের ৬ হাজার ৫৩৮ জন পরিক্ষার্থী অংশ নেয়। গাংনী মাধ্যমিক বালিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মশিউর রহমানকে বহিষ্কার করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম। দায়িত্ব পালনকালে তিনি মোবাইলফোন ব্যবহার করায় বহিষ্কার করা হয়। সকালে জেলার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মাহমুদ হোসেন, পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, পরীক্ষা উপলক্ষে কেন্দ্র ও সড়কগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্র যাওয়া-আসার পথে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পুলিশ টহল ও শাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ সদস্যরা।