১১ পরিবারের সদস্যদের মানববন্ধন : মিছিল ও স্মারকলিপি পেশ

চুয়াডাঙ্গায় জমিদখলের অপচেষ্টা ফসল নষ্ট ও সাজানো মামলার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় প্রায় পাঁচকোটি টাকা মূল্যের জমি দখলের পাঁয়তারা ,ফসল নষ্ট এবং একের পর এক সাজানো মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে জমির মালিক ১১টি পরিবারেরর সদস্যরা মানববন্ধন, মিছিল ও স্মারকলিপি পেশ করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে মানববন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পুরুষের পাশাপাশি নারী ও শিশুরাও অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা মিছিল সহকারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় যান এবং প্রতিকার চেয়ে স্মারকলিপি পেশ করেন। জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন ও পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষে চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলপাড়ার রাশেদুজ্জামান মালিক স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় উপস্থিত অন্যরা হলেন- রেলপাড়ার মৃত ইব্রাহিম হোসেন মালিকের ছেলে জহুরুল ইসলাম মালিক, মেয়ে রোজলীন আক্তার মালিক ও জেসমিন আক্তার মালিক, নজির হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে আব্দুর রহমান জোয়ার্দ্দার চাঁদ ও আবিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার মানিক, জলি, জেসমিন, বেবী ও লাকি, রেলবাজার এলাকার আহসান উল্লাহ জোয়ার্দ্দারের ছেলে আবু সাঈদ জোয়ার্দ্দার, আবু জাহিদ জোয়ার্দ্দার, আবু জহির জোয়ার্দ্দার ও আবুল হাসেম জোয়ার্দ্দার ফারুক, পোস্টঅফিস পাড়ার মৃত কামরুল হক জোয়ার্দ্দারের ছেলে আহসান হাবীব জোয়ার্দ্দার হিরো, মৃত আসাবুল হক জোয়ার্দ্দারের ছেলে কায়জার বিন আসহাব জোয়ার্দ্দার এবং এতিমখানাপাড়ার মামুন অর রশিদের ছেলে আশিফ ইকবালসহ ভুক্তভোগীরা।

স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, তিনি এবং তার আত্মীয়স্বজনেরা বংশ পরম্পরায় চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা সড়কে ঘোড়ামারা ব্রিজের আশপাশ, ইসলামপাড়ায়, পশু জবাইখানার পাশে, পৌর কলেজের সামনে, শ্মশানপাড়ায়, হাজরাহাটি ও কুলচারা মৌজার টেংরামারী মাঠের ১৪ বিঘা ধানী ও বসতভিটা জমির মালিক। যার বাজারমূল্য বর্তমানে প্রায় পাঁচকোটি টাকা। এসব জমির হালনাগাদ খাজনা ও কর পরিশোধ করা আছে।

প্রায় দু বছর ধরে মাঝেরপাড়ার মৃত জিতুয়ার রহমানের ছেলে ইসরাইল হোসেন বিটুল, জিনতলাপাড়ার ইছাহকের ছেলে রুনা মিয়া, মাঝেরপাড়ার জোনারুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলাম মানা, ইসলামপাড়ার ইসমাইল হোসেনের ছেলে স্বপন ও শেখ পাড়ার মৃত সেলিমের ছেলে রিকন সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আলোচিত জমি দখলের পাঁয়তারা করছে। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে জমির মালিকদের (রাশেদুজ্জামান ও আত্মীয়স্বজনকে) ও বর্গা নেয়া চাষিদেরকে জমিতে যেতে বাঁধা দিচ্ছে। এমনকি জমিতে গেলে খুনখারাবিরও হুমকি দিয়ে চলেছে।

এদিকে জমিদখলে ব্যর্থ হয়ে ওই পাঁচজন জোর করে জমি দখল ও ক্ষেতের ফসল কেটে দেয়ায় আমি পরিবারের পক্ষে প্রতিবাদ করে আসছিলাম। বিষয়টি বুঝতে পেরে বিটুল গং আমার বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক ১০টি সাজানো চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে নাজেহাল করছে। সাজানো ওই মামলাগুলো হচ্ছে- জিআর ২৫০/১৪, জিআর ২৬০/১৪, জিআর ৩১৭/১৪, জিআর ৩২৯/১৪, জিআর ৩৯০/১৪, জিআর ৫৬৩/১৪, পিটিশন মামলা ৪০৬/১৪, জিআর ৪০৬/১৪, জিআর ৪০৬/১৫, ও জিআর ৪০৯/১৫। এছাড়া যেসব বর্গাচাষি ওইসব মালিকদের জমি ইজারা নিয়ে আবাদ করছেন তাদেরকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এবং নানারকম ভয়ভীতি অব্যাহত রেখেছে। বিষয়টি অবগত হয়ে সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করা হয়।