লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো না পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। তিনি সবাইকে এ আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মানুষের জীবন নিয়ে আমরা অপরাজনীতি করি না উল্লেখ করে বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় আবারও বলতে চাই, হত্যা ও লাশের রাজনীতির সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এমন হীন ও নৃশংস অপরাজনীতি আমরা কখনো করবো না। এখন যারা ক্ষমতা আঁকড়ে আছে, তারাই অতীতে আন্দোলনের নামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগিয়ে ডজন খানেক মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। লগি-বৈঠার তাণ্ডবে মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। লাগাতার হরতালে এসএসসি পরীক্ষা তিন মাস পর্যন্ত পেছাতে বাধ্য করেছে।

অতীতের ধারাবাহিকতায় নিরপরাধ মানুষকে নৃশংস পন্থায় হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, এর দায় চাপিয়ে আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রচার মাধ্যমে অপপ্রচার ও বিরোধী দলকে এ সুযোগে দমন করার অপরাজনীতি ব্যর্থ হবে। বাংলাদেশের মানুষ এতো বোকা নেই। বিএনপির চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, তার ছোট ছেলের মৃত্যুতে তিনি শোকাবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এ বিপর্যয়ের ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই তার সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে সর্বমুখি চাপ ও অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করে তারা আমাকে জনগণ ও নেতাকর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সচেষ্ট।

তিনি আরো বলেন, আমি সবাইকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, কোনো অনৈতিক চাপ বা ভীতির মুখে আমি নত হব না, ইনশা আল্লাহ। যেকোনো পরিস্থিতি বা পরিণতির জন্য তৈরি রয়েছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জোটের বিপরীতে অবস্থান নেয় বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট। গুলশানের ৮৬ নম্বর সড়কের ৬ নম্বর বাড়িটি কার্যত বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে পরিণত হয়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পুলিশ বেগম খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তার নামে অবরুদ্ধ করে রাখে।