কালবিলম্বে বাড়বে ক্ষতি : কলুষিত হবে রাজনীতি

দেশে কী হচ্ছে, কী হতে যাচ্ছে? সাধারণ মানুষ এ প্রশ্নে ঘুরপাক খেলেও খুঁজে পাচ্ছে না জবাব। কেউ স্বীকার করুক আর না করুক, দেশ যে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে হাবু-ডুবু খাচ্ছে তা আমজনতা পদে পদে টের পাচ্ছে।

টানা একটি মাস দেশের একটি রাজনৈতিক জোট সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের পাশাপাশি মাঝে মাঝেই হরতাল আহ্বান করছে। বোমা-ককটেলের বিস্ফোরণ হচ্ছে, পেট্রোলবোমায় অঙ্গার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সরকার প্রধানসহ ক্ষমতাসীন দল দেশজুড়ে ঘটনাপ্রবাহকে সন্ত্রাস বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিরোধ-প্রতিহতই শুধু নয়, দমনপীড়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে শক্তি প্রয়োগে মাঠে নামিয়েছে। পাল্টাপাল্টি অবস্থানে পরিস্থিতি শুধু শ্বাসরুদ্ধকরই নয় খেসারত দেয়া আমজনতা দেশের চলমান রাজনৈতিক ধারার ধরনে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে।

আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা শুধু অমানবিকই নয়, আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এটা যেমন রাজনীতি নয়, তেমনই কোনো মতাদর্শভুক্ত রাজনৈতিক দলকে সভা-সমাবেশ থেকে শুরু করে তাদের কিছুই করতে দেয়া হবে না তাও গণতন্ত্র হতে পারে না। অবরোধ হরতালে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গার্মেন্টস সেক্টরে পড়ছে ভয়াবহ কুপ্রভাব। শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে পরীক্ষা দিতে না পেরে অস্থিরতায় ভুগছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর দিনকাটছে কষ্টে। এসবের জন্য দায় কার? এটা হলে ওটা হতো না, ওটা হলে এটা হতো না। অজুহাতে আমজনতা বড্ড ক্লান্ত।

পক্ষে-বিপক্ষে যতো যুক্তিই থাক, দেশের সাধারণ মানুষ চায় সমাধান, শান্তি। সঙ্কট যেহেতু রাজনৈতিক, সেহেতু রাজনৈতিকভাবেই সমাধান কাম্য। কালবিলম্বে বাড়বে ক্ষতি, কলুষিত হবে রাজনীতি।