দামুড়হুদা/ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগে মোস্তফা কামাল (৩০) নামের এক ইমামকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মোস্তফা কামাল কার্পাসডাঙ্গা কাস্টস মোড় কওমি মাদরাসার সহকারী শিক্ষক এবং কোমরপুর পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা হাদীকাতুল উলুম বালিকা দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী কোমরপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে সোনিয়া খাতুনের (১৩) দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের বদনপুর গ্রামের আফছার আলীর ছেলে আক্তারের (২০) সাথে গতকাল সোমবার দুপুরে বিয়ের দিন ধার্য ছিলো। এদিন দুপুরে বরসহ প্রায় ৩০/৩৫ জন বরযাত্রী বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং বিয়ে পড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের কাজিকে ডেকে আনেন। সংশ্লিষ্ট কাজি মেয়ের বয়স কম হওয়ায় এবং জন্মসনদে কাটাকাটি দেখে বিয়ে না পড়িয়ে চলে যান। পরে ছেলেপক্ষ দামুড়হুদা ইউনিয়নের কাজি কুতুব উদ্দিনের দ্বারস্থ হন। কুতুব কাজির পরামর্শেই মাত্র ১ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে কাবিন ছাড়াই উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে কোমরপুর পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম মোস্তফা কামাল ওই বিয়ে পড়িয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানায়। বিকেলে বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজ কুমার পাল বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। কিন্তু ততোক্ষণে বিয়ে শেষ করে বরপক্ষ নববধূকে নিয়ে বদনপুরে ফিরে গেছেন। বিয়ে বাড়িতে কাউকে না পেয়ে শেষমেষ ইমামকে আটক করে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে যান এবং সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনের ৫ ধারায় ইমাম মোস্তফা কামালকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কাজে সহযোগিতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিএ ফয়জুল ইসলাম ও দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই আবু জাহের ভুঁইয়া।