অর্থমন্ত্রীর বহিষ্কার ও শাস্তি দাবি করেছে হেফাজত

স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ নিয়ে কটূক্তি করায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসিন আলীর পর এবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তি দাবি করেছে হেফাজত ইসলাম। গতকাল সোমবার সংবাদপত্রে দেয়া এক বিবৃতিতে হেফাজত আমির আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ নীতির আড়ালে মূলতঃ নাস্তিব্যবাদের প্রসার ঘটানো হচ্ছে। ‘ইসলামী ব্যাংকিং একান্তই একটি ফ্রড বা প্রতারণা। ভুলের ওপর নির্ভর করে ইসলামী ব্যাংকিং হচ্ছে, সুদ মানবিক চিন্তাধারার ওপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং ভুলের ওপর ভিত্তি করেই ইসলামিক ব্যাংকিং হয়েছে’ উল্লেখ করে গত ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে দেয়া অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর নিন্দা জানিয়ে অর্থমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, আল্লাহ তাআলা কেনা-বেচা বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। পবিত্র কোরআনের নির্দেশনা মতে অর্থমন্ত্রী সুদ ঘুষের স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে ও অপব্যখ্যামূলক বক্তব্য দিয়ে মূলত নিজেকে জাহান্নামী ও শয়তানে আসর করা মোহাবিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী এর আগে ঘুষ ও দুর্নীতির সপক্ষে সাপাই গেয়ে বক্তব্য দিয়ে ইসলাম অবমাননা ও অনৈতিকতার পক্ষ নিয়ে জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি করেছিলেন। একের পর এক ইসলাম ও নৈতিকতার বিরুদ্ধে তিনি বক্তব্য দিয়ে যাবেন, এটা মেনে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে কাউকে পার পেতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার কর্তৃক সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাসের নীতি বাতিল এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশে অনৈতিকতা, বেহায়াপনা ও জোর-জুলুমের বিস্তারের পাশাপাশি রাসুল অবমাননা ও ইসলাম বিরোধী বক্তব্য গত কয়েক বছরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। তিনি ইসলাম বিদ্বেষীদের ব্যাপারে গণসচেতনতা তৈরির জন্য দেশের আলেম সমাজ ও হেফাজতের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।