র‌্যাবের হাতে আটকের পর রিজভী ডিবি হেফাজতে

স্টাফ রিপোর্টর: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে বাড্ডা থানা এলাকায় গাড়ি ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে ডিবি পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। এর আগে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে বারিধারার একটি বাসা থেকে র‌্যাব সদস্যরা তাকে আটক করে। রাতে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন গুলশান জোনের এসি নুরুল আলম।
ওদিকে শনিবার রাতে ডিবি কার্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভীকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এজন্য এদিন দুপুরেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে ডিবি গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়। তবে পুলিশের দাবি গত মঙ্গলবার মির্জা ফকরুলকে পল্টন থানার একটি মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এজন্য তাকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে আনা হয়েছে।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যেম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার মুফতি মাহমুদ হাসান যায়যায়দিনকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকে বারিধারার পার্ক রোডের ৯৮ নাম্বার বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা। পরে তাকে র‌্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর বাড্ডা থানায় পূর্বে দায়েরকৃত গাড়ি ভাংচুর ও অগি্নসংযোগের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তিনি বলেন, চলমান অবরোধ ও হরতালে বিভিন্ন গণমাধ্যেমে বিবৃতি পাঠিয়ে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে রিজভীর বিরুদ্ধে। এর আগে তিনি গত ৩ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে সেখান থেকে ৭ জানুয়ারি পালিয়ে আত্মগোপন করেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এজন্য তাকে র‌্যাব সদস্যরা আটক করে।