মেহেরপুরে বিপুল হত্যা মামলা থেকে মেহেরপুর যুবলীগের সভাপতির নাম বাদ দেয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুল হত্যা মামলা থেকে জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনামকে বাদ দেয়ার দাবি জানিয়েছে জেলা যুবলীগ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই দাবি জানান জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল আলম।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা যুবলীগের যুগ্মসম্পাদক নিশান সাবের। তিনি বলেন, সাজ্জাদুল আনাম কখনই কোনো সমাজ ও আইনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত নন। যুবলীগ নেতা বিপুল ও রিপন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল আসামিদের বিচারের আওতায় আনতে সাজ্জাদুল আনামের নেতৃত্বে চেষ্টা করে যাচ্ছেন যুবলীগ নেতাকর্মীরা। কিন্তু সাজ্জাদুল আনামকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চার্জশিটে তাকে আসামি করার ষড়যন্ত্র চলছে। সঠিক ও যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা ও হত্যাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করা সম্ভব। তাই বিপুল হত্যা মামলার ষড়যন্ত্রমূলক চার্জশিট স্থগিত করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত আসামিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি করা হয়। তা নাহ’লে আগামিতে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের পথ বেছে নিতে নেতাকর্মীরা দ্বিধা করবেন না বলে জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদুল আনাম, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল আলম সাজ্জাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান হিরন, সদর উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, গাংনী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশসহ যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিপুল। এ ঘটনায় নিহত বিপুলের স্ত্রী বিলকিস পারভীন বেলী বাদি হয়ে ৬ জনের নামে মেহেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৯ জুন সাজ্জাদুল আনামকে আসামি থেকে বাদ দিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। বাদী আদালতে নারাজি আবেদন করলে মামলা পুনঃতদন্ত করে চার্জশিট দাখিলের ভার পড়ে সিআইডির ওপর।