স্টাফ রিপোর্টার: আর মাত্র চারদিন পর শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষা যত এগিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের শঙ্কা তত বাড়ছে। চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট, অবরোধ, হরতাল এর কারণ। ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা চায় না পরীক্ষার সময় হরতাল বা অবরোধ হোক। তারা এটাও চায় না যে হরতাল ও অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক। এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠক ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। তবে পরীক্ষা না পিছানোর বিষয়ে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পরীক্ষার সব প্রস্ততি শেষ। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে। আমাদের প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এসএসসি পরীক্ষার সময় তারা (বিএনপি) অবরোধ তুলে নেবে। বিএনপি’র আহূত অবরোধের কোনো সময়সীমা নেই। তাই আমরা যে পরীক্ষা পিছিয়ে দেব, তারও কোন উপায় নেই।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অবরোধ প্রত্যাহার করা না হলেও পরীক্ষা চালিয়ে যাবে। তবে হরতালের দিনগুলোর পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হবে। তারা বলছেন, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলো পরীক্ষার্থীদের নিজ বিদ্যালয়ের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে। এছাড়া এবার ১০টি শিক্ষাবোর্ডের প্রতিটির জন্য পৃথক চার সেট প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। বোর্ডভিত্তিক পরীক্ষা হওয়ায় দেশের কোন একটি এলাকায় হরতাল পালিত হলেও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ড ছাড়া বাকিগুলোর পরীক্ষা ওইদিন সম্পন্ন করা যাবে। এ বিষয়ে একাধিক অভিভাবক বলছেন, অবরোধ ও হরতালের মধ্যে দৃশ্যত কোন পার্থক্য দেখা যায় না। অবরোধেও সহিংসতা হয়, হরতালেও হয়। ফলে অবরোধ ও হরতালের পার্থক্য বিবেচনা করে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া না যাওয়া শিক্ষার্থীদের শংকা কমাতে পারবে না। মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অবরোধের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা-যাওয়ার নিরাপত্তা বিধান করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজে লাগানো হবে। অভিভাবকরা বলছেন, বিএনপি এ এবং ও লেভেল পরীক্ষা হরতাল ও অবরোধের আওতামুক্ত রাখে। এসএসসি পরীক্ষা হরতাল-অবরোধের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। একাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে বলেছেন, হরতালে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা আমরা এখনও নিশ্চিত নই। তাই ঠিকমতো পড়াশোনায় মন বসানো যাচ্ছে না। আবার অবরোধ-হরতালের মধ্যে পরীক্ষা দিতেও ভয় হয়– যদি কোন সহিংসতা হয়! মিরপুরের নজরুল ইসলাম বলেন, চিন্তায় আছি। আসলে কী হবে। পরীক্ষা ঘনিয়ে আসছে। এখনও জানতে পারছি না– পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ স্থগিত হবে কিনা। পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ আহ্বান না করার জন্য শিক্ষার্থীরা বেশকিছু দিন ধরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছে।