চরমপন্থি পরিচয়ে গণহারে চাঁদা দাবি

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিচয় দিয়ে কেরুজ চিনিকলের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ

 

দর্শনা অফিস: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিচয় দিয়ে কেরুজ চিনিকলের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বরের তালিকা সংগ্রহ করেছে চাঁদাবাজচক্র। চরমপন্থি পরিচয় দিয়ে মিলের কর্তা বাবুদের কাছে গণহারে দাবি করা হয়েছে চাঁদা। মিল কর্তৃপক্ষ চাঁদাবাজচক্রের সন্ধানে শুরু করেছে আইনি প্রক্রিয়া।

জানা গেছে, গত পরশু সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কেরুজ চিনিকলের জেনারেল অফিসের টেলিফোনে অজ্ঞাত স্থান থেকে ফোন করলে তা রিসিভ করেন জেনারেল অফিসের কর্মচারী আব্দুল বারীর। অজ্ঞাত স্থান থেকে নিজেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিচয় দিয়ে মিলের এমডিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। এ সময় বারী কারো মোবাইল নম্বর জানেন না বলে এড়িয়ে যান। পরে চাঁদাবাজরা মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ আজিজুর রহমানের মোবাইলে কল দিয়ে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী মোবাইলে কথা বলবেন। তাই মিলের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর প্রয়োজন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আপনাদের ইমেল ঠিকানা ম্যাসেজ দিয়ে পাঠান। মোবাইল নম্বর ইমেল করে পাঠিয়ে দেয়া হবে। ইমেল নেই বলে জানানো হলেও সন্দেহের দানা বাধে এমডি আজিজুর রহমানের। ফলে তিনি অফিসের সকল স্টাফকে সতর্ক করে দেন। পরে চাঁদাবাচক্রের সদস্যরা কৌশলে কেরুজ চিনিকলের কর্মকর্তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। গত ২ দিনের ব্যবধানে চাঁদাবাজরা বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেছে মোটা অঙ্কের চাঁদা। কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- ডিজিএম সিভিল গোলাম রব্বানী, রতন বাবু, প্রসাশন বিভাগের আক্রাম শিকদার, সেলস অফিসার শেখ শাহবুদ্দিনসহ অনেকেই। চাঁদাবাজরা চরমপন্থিচক্রের সদস্য দাবি করে তাদের এক অসুস্থ সদস্যের চিকিৎসার জন্য টাকা প্রয়োজনের কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছে। চাঁদার টাকা পরিশোধ না করলে বিভিন্নভাবে ক্ষতির ভয় দেখানো হয়েছে। তবে কোথায় কীভাবে চাঁদার টাকা দিতে হবে তা জানা না গেলেও মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চাঁদাবাজচক্রের সন্ধানে গ্রহণ করছেন আইনি ব্যবস্থা। এদিকে চাঁদাবাজচক্রের হুমকিতে কর্তাবাবুদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক। মিল এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে জোরদার। মিলের প্রসাশন বিভাগ থেকে থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।