স্টাফ রিপোর্টার: প্রশাসনিক কাজে গতিশীলতা আনতে ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুর এবং চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী ও কুমিল্লা নিয়ে নতুন বিভাগ গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে ময়মনসিংহকে নতুন বিভাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের অনুমোদনের কথা জানান।
মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা জানান, ঢাকা বিভাগকে ভাগ করে বিশেষ করে বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল নিয়ে একটি এবং চট্টগ্রাম বিভাগকে ভাগ করে বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চল নিয়ে আরেকটি বিভাগ করা যায় কি-না সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি (নিকার)।
তিনি জানান, মন্ত্রিসভার নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করে সুপারিশ সম্বলিত প্রস্তাব নিকার (প্রশাসনিক সংস্কার সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থান করা হবে। তিনি আরো জানান, রংপুর বিভাগ করার জন্য এর আগে যে ধরনের অনুশাসন দেয়া হয়েছিলো ময়মনসিংহসহ অন্য দু বিভাগ করার জন্য সেই ধরনের অনুশাসন দেয়া হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, তিনি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। ২০১৩ সালে তার ইচ্ছায় বহু বাংলাদেশিকে বৈধতা দেয়া হয়। সচিব জানান, ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সৌদি বাদশাহর মৃত্যুতে শোক জানাতে সৌদি আরব গেছেন।
এদিকে মন্ত্রিসভা চা আইন-২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনটিকে বাংলায় হালনাগাদ করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। আজ এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ আইন লঙ্ঘন করলে সর্বনিম্ন ৬ মাস, সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হবে। এছাড়া বাংলাদেশ চা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন-২০১৫ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আইনটিতে শ্রমিকদের জন্য অর্থ তহবিল গঠনের কথা বলা হয়েছে, যা চা শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় হবে। বিশেষ করে তাদের সন্তানের লেখাপড়া, বিয়ে ও দাফনের কাজে ব্যয় হবে।