কৃতী ফুটবলার মামুন জোয়ার্দ্দারের দুর্দান্ত প্রতাপ আবারো দেখলো চুয়াডাঙ্গার ফুটবল প্রেমীরা

ইসলাম রকিব: ৪৫’র কোটা পেরিয়ে পঞ্চাশের কোটায় বয়স। তাতে কি হয়েছে? বয়স বাড়লেও মনের জোর কিন্তু কমেনি। গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী টাউনমাঠে আবারো একবার প্রমাণ করলেন চুয়াডাঙ্গার কৃতী ফুটবলার মামুন হোসেন জোয়ার্দ্দার ও তার সমসাময়িক ফুটবলাররা। চুয়াডাঙ্গার ফুটবলপ্রেমী দর্শকদের অনুরোধে বুট, হুজ, জার্সি পরে মাঠেই শেষ পর্যন্ত নামলেন মামুন জোয়ার্দ্দার। নামলেন সোনালি অতীত ক্লাবের ফুটবলারদের বিপক্ষে। নিজের নামে সমসাময়িক ফুটবলারদের সাথে নিয়ে দলের নামকরণ হলো মামুন জোয়ার্দ্দার একাদশ। মামুন জোয়ার্দ্দার ড্রেসআপ করে মাঠে নামার আগেই অনেক দর্শক প্রিয় ফুটবলারের খেলা উপভোগ করার জন্য টাউন মাঠে হাজির। শুরু হলো প্রথমার্ধের খেলা। প্রথমে নেমেই দু দলের খেলোয়াড়রা আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ শুরু করে দিলো। তারপর সময় যতোই বাড়তে থাকে খেলোয়াড়দের স্টামিনা (দম) ততোই কমতে থাকে। কেনই বা কমবে না। যারা গতকাল মাঠে খেলেছেন দু দলের কারোর বয়সই ৪৫ বছরের নিচে নয়। তবে খেলার আকর্ষণ ও বল দেয়া-নেয়ার কৌশল ছিলো অসাধারণ। প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে গোল এরিয়ার অনেক দূরে গিয়াস উদ্দিন পিনার দেয়া বলটি যেভাবে কিক করে গোল করলেন মামুন জোয়ার্দ্দার তা দেখে উপস্থিত দর্শকরা মন্তব্য করে বলতে লাগলেন, মামুন জোয়ার্দ্দার কি অনূর্ধ্ব-১৯ বছর বয়সী, না ৪৮ বছর বয়সী। এক ছটকায় বয়ে গেল দর্শকদের মুহুর মুহুর করতালি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারো সোনালি অতীত ক্লাবের গোল রক্ষক আনোয়ার হোসেনকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়িয়ে দিলেন মামুন জোয়ার্দ্দার। এরপর সুযোগ এসেছিলো হ্যাটট্রিক করার। কিন্তু সহকারী রেফারির বিতর্কিত অফসাইড হ্যাটট্রিক পূরণ করতে দেয়নি জোয়ার্দ্দারকে। তাতে কি হয়েছে? সেই ১৬ বছরের আগেকার মামুন জোয়ার্দ্দারের দুর্দান্ত প্রতাবের ফুটবলশৈলী তো দেখলো চুয়াডাঙ্গার ফুটবলপ্রেমীরা। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে ব্যাংকার আশরাফুল ইসলাম মিঠু গোল করে মামুন জোয়ার্দ্দার একাদশকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন। সোনালি অতীত ক্লাবের পক্ষে শেষ সময়ে একমাত্র সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার। ফলে খেলার ফলাফল দাঁড়ায় ৩-১। শেষ বয়সে আবারো একবার কৃতী ফুটবলার মামুন জোয়ার্দ্দারের দুর্দান্ত প্রতাব দেখলো চুয়াডাঙ্গার ফুটবলপ্রেমীর দর্শক ও ভক্তরা।

মামুন জোয়ার্দ্দার একাদশের পক্ষে যারা খেলায় অংশগ্রহণ করেন তারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম টিপু (গোলরক্ষক), মামুন হোসেন জোয়ার্দ্দার (অধিনায়ক), গিয়াসউদ্দিন পিনা, আশরাফুল ইসলাম মিঠু, নাজমুল হক শান্তি, হাসান, বিপুল, ছোট লিটন, বিদ্যুৎ, সেলিম জোয়ার্দ্দার, তরিকুল ইসলাম ও সুজন। সোনালি অতীত ক্লাবের পক্ষে খেলায় অংশগ্রহণ করেন আনোয়ার হোসেন (গোলরক্ষক) সরোয়ার হোসেন মধু (অধিনায়ক), রেজাউল হক জোয়ার্দ্দার রেজা, শহিদুল কদর জোয়ার্দ্দার, এ নাসির জোয়ার্দ্দার, আয়ুব আলী, রফিকুল ইসলাম, টিপু সুলতান, রিজু, অ্যাড. তালিম ও মেহেরুল্লাহ-মিলু।

Leave a comment