নানা সমস্যায় জর্জরিত আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি গুচ্ছগ্রামবাসী

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: পুরো শীতে একটিও শীতবস্ত্র পায়নি আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি গুচ্ছগ্রামের ২৫টি হতদরিদ্র পরিবার। নানা সমস্যায় জর্জরিত এ সব হতদরিদ্রদের ভাগ্যে জোটে না ভিজিডি কিংবা ভিজিএফ কার্ড পাওয়ার সৌভাগ্য।

জানা গেছে, ১৯৯০ সালে আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় গুচ্ছগ্রাম সৃষ্টি করা হয়েছে। গৃহহীন হতদরিদ্র পরিবারের মাথা গোজার ব্যবস্থা করতেই ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ গুচ্ছগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা হয়। এলাকার ২৫টি গৃহহীন হতদরিদ্র পরিবারের প্রত্যেকটি পরিবারকে এ গুচ্ছগ্রামে ৭ শতক জমি, ২ বান্ডিল টিন, ঈদগা, পুকুর, কমিউনিটি সেন্টার এবং ঘর তৈরির নগদ টাকা দেয়া হয়েছিলো। প্রথম প্রথম বেশ কয়েক বছর স্থানীয় প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদসহ রাজনৈতিক নেতারা খোঁজ খবর রাখতেন। কিন্তু বর্তমানে এ গুচ্ছগ্রাম নানা সমস্যায় জর্জরিত। দেখার কেউ নেই। গুচ্ছগ্রামের একমাত্র পুকুরটির দুরাবস্থা। সারা বছর পানি থাকে না। ইতোমধ্যে কমিউনিটি সেন্টার ও ঈদগার একাংশ পুকুরের ভেতর ভেঙে পড়েছে। এতে টিআর, কাবিখার অপচয় হলেও হতদরিদ্রদের গুচ্ছগ্রামের ছিটেফোটা উন্নয়নও হয়নি। এবছর বেশ কয়েকদিন দেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এতো প্রচণ্ড শীতেও তাদের জন্য মেলেনি এক টুকরো শীতের পোশাক।

এ গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত হায়দার আলী বলেন, জাড়ে মরে গেলাম। কেউ একটা জামা দিইনি। একটা কম্বলের জন্যি কতো কাবরালাম, কেউ দিলো না। বিশারত মণ্ডল, আইনাল হক, ছমিরন নেছা, জলেমান খাতুন ও হালিমা খাতুন বলেন, কুনু জাড়েই কম্বল পায়নি। কার কান্দা এখন কিডা কান্দে সুনা। নেতারা আসে যখুন ভোট হয়। তখুন কত পিরিত! যেই ভোট শেষ, আর কেউ আসে না। ভিজিডি কিংবা ভিজিএফ কার্ড পায় কি-না জিজ্ঞেস করলে কেউ পায় না বলে জানায়।

Leave a comment