দামুড়হুদায় বাসের ধাক্কায় ৩ শিশু শিক্ষার্থী রক্তাক্ত জখম

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার লোকনাথপুর থেকে খেলা শেষে আলমসাধুযোগে বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত বাসের ধাক্কায় হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শিশু শিক্ষার্থী রক্তাক্ত জখম হয়েছে। আহত ওই তিন শিশু শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র রায়হান (১১) ও একই শ্রেণির ছাত্রী রতনা (১০) এ দুজনকে মূমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের দুজনেরই ডান পার নিচের অংশের মাংস কেটে পড়ে গেছে এবং আহত ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ডালিয়াকে (১২) স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লোকনাথপুর স্কুলমাঠে আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আলমসাধুটি জয়রামপুর শাহ পাড়ায় পৌঁছুলে দর্শনা থেকে চুয়াডাঙ্গা অভিমুখে ছেড়ে আসা একটি চলন্ত বাস পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুর জাহান আহতদের দেখতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল থেকে লোকনাথপুর স্কুল মাঠে হাউলী ইউনিয়নের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা চলছিলো। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা রিজার্ভ করা আলমসাধুযাগে বাড়ি ফিরছিলো। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আলমসাধুটি জয়রামপুর শাহপাড়ার সন্নিকটে পৌঁছুলে দর্শনা থেকে চুয়াডাঙ্গা অভিমুখে ছেড়ে আসা একটি চলন্ত বাস পেছন থেকে আলমসাধুতে ধাক্কা মারে। চলন্ত বাসের ধাক্কায় আলমসাধুতে বসে থাকা ১০/১২ জনের মধ্যে নতুন হাউলীল মহাম্মদ আলীর ছেলে হাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র রায়হান, একই শ্রেণির ছাত্রী জয়রামপুর শাহপাড়ার রতনা ও নুতন হাউলী গ্রামের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ডালিয়া পিচরোডে ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত জখম হয়। আলমসাধুতে থাকা ওই বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক কাবিল উদ্দিন, মুনসুর আলী ও সালেহা খাতুন আহত ৩ জনের মধ্যে রায়হান ও রতনাকে আবারও ওই আলমসাধুযোগে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ওই দুজনেরই ডান পার নিচের অংশের মাংস কেটে পড়ে যায়। খবর পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুরজাহান আহতদের দেখতে তাৎক্ষণিকভাবে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং সমবেদনা জানান।

আলমসাধুতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কাবিল উদ্দিন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ফিরে মাথাভাঙ্গাকে জানান, আহত দুজনই গরিব পরিবারের সন্তান। রায়হানের পিতা একজন ভ্যানচালক এবং রতনার পিতা-দিনমজুর। তাদের চিকিৎসা বাবদ আমরা নিজেদের পকেট থেকে আপাতত দু হাজার টাকার মতো খরচ করেছি। কিন্তু তাদের চিকিৎসার জন্য আরো বেশ কিছু টাকার প্রায়োজন। তিনি আহত ওই দু শিশু শিক্ষার্থীর উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্থিকভাবে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি হাজি আলী আজগার টগরসহ এলাকার বিত্তবানদের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।