তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি বাজারে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট

পুলিশের লাঠিচার্জে পরিস্থিত শান্ত

 

স্টাফ রিপোর্টার: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গার ঘোলদাড়ি বাজারের সঙ্ঘবদ্ধ জোড়গাছা গ্রামবাসীর হামলায় কম্পিউটারের দোকান, ফার্মেসি, চায়ের দোকানে টিভিসহ টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পক্ষ-বিপক্ষের একে অন্যের ওপর অভিযোগ করেছে। গত ৭ দিন আগে শামসুল নামের এক ব্যক্তিকে মারধোর করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। গতকাল আবারো জোড়গাছা গ্রামের মিল্টন নামের এক ব্যক্তির দোকান ভাঙচুর করলে গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যায় সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে জোড়াগাছা গ্রামবাসী ঘোলদাড়ি বাজারে হামলা চালিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের দোকান, মহিলা মার্কেটসহ ১০/১২টি দোকান ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। পুলিশের লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলমডাঙ্গার জোড়গাছা গ্রামবাসী সঙ্ঘবন্ধ হয়ে ঘোলদাড়ি বাজারের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে জোড়গাছা গ্রামবাসী ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। জোড়গাছা গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে পাইকপাড়া গ্রামের শের আলীর ছেলে লালনের ঘোলদাড়ি বাজারের কম্পিউটারের দোকানের দরজা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে দু লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এবং দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ টাকা লুট করে বলে জানায়।

এছাড়া ভেদামারী গ্রামের হবিবরের ছেলে মানিক অভিযোগ করে জানান, জোড়াগাছা গ্রামবাসী হামলা চালিয়ে দোকানসহ একটি টিভি ভাঙচুর ও দোকানে থাকা বাজারের সমিতির ৫০ হাজার নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া হামলাকারীরা বাজারের ব্যবসায়ী জাহাপুর গ্রামের হবিবরের টিনশেড ভাঙচুর করা ছাড়াও মহিলা মার্কেটের সাটার কুপিয়ে কেটে দিয়েছে। হামলাকারীরা বাজারের প্রায় ১০/১২টি দোকানের সাটার কুপিয়ে কেটে দিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে জোড়গাছা গ্রামের শের আলীর ছেলে শামসুলকে পাইকপাড়ার কয়েকজন ব্যক্তি পিটিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেলে রেফার করলে তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে পরিবর্তীতে ঢাকায় রেফার করা হয়। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাজারের কম্পিউটার দোকানদার জোড়াগাছা গ্রামের মিল্টনের দোকানে কয়েকজন হামলা চালিয়ে দোকানের কম্পিউটারসহ মালামাল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন অর রশিদ, সেকেন্ড অফিসার এসআই জুয়েল, এসআই জিয়াউরসহ সঙ্গীয় ফোস নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাজারের উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।