জীবননগরে সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে ছিনতাই

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে আলোচিত ছিনতাই স্পটে ফের গণ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতদল সড়কে গাছ ফেলে চলাচলরত যানবহন আটক করে ধারালো অস্ত্রের মুখে যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইলফোনসহ সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতি করাকালে ডাকাতদল কয়েকজন যাত্রীকে মারধর করেছে।

জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়ার মাইক্রোচালক হারুন গত বৃহস্পতিবার রাতে মণ্ডলপাড়ার রোগী শওকত আলীকে মাইক্রোযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের কামাল হোসেন ও রোগীর ছেলে শিলং মণ্ডলকে সাথে নিয়ে ফিরছিলো। পথিমধ্যে সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে প্রস্তাবিত পুলিশ বক্সের নিকট পৌঁছুলে ডাকাতদল সডকে গাছ ফেলে মাইক্রোটির গতিরোধ করে। ১০/১২ জনের ডাকাতদল দেশীয় ধারালো অস্ত্রের মুখে মাইক্রোচালক হারুন ও তার সঙ্গীয় দু যাত্রীকে জিম্মি করে নগদ ৩ হাজার টাকা মোবাইলফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতদল মাইক্রোমালিক আন্দুলবাড়িয়া অক্সর্ফোড প্রিক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম টুটুলকে মোবাইলফোনে ডেকে নিয়ে আসার জন্য মাইক্রোচালক হারুনকে অব্যাহত চাপ সৃষ্টি করে। মাইক্রোচালক অপরাগত প্রকাশ করায় তার ওপর নির্মমভাবে শারারিক নির্যাতন চালায়। মাইক্রোর গ্লাস ভেঙে দেয়। এরই মধ্যে ঢাকার পরিবহন থেকে যাত্রী নিয়ে আসা দুটি মিশুক, ১টি মোটরসাইকেল, কেরু অ্যান্ড কোম্পানির আখবোঝাই ট্রলি ও দেহাটি পিয়াস বিক্সের মিস্ত্রি আব্দুল হামিদ ও এরশাদ আলীর নিকট নগদ টাকা মোবাইলফোনসহ যাত্রী সাধারণ ও চালকদের নিকট সর্বস্ব লুট করে নেয়। গত বৃহস্পতিবার রাত সাডে ৩টার দিকে আটক যাত্রীদের ছেড়ে দিয়ে ডাকাতদল নির্বিঘ্নে স্থান ত্যাগ করে। এছাড়া শাহাপুর-সাবদালপুর সড়কে গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ছিনতাই সংঘটিত হয়।

Leave a comment