উৎসবমুখর পরিবেশ ও আনন্দঘন আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের বার্ষিক চড়ুইভাতি অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: উৎসবমুখর পরিবেশ ও আনন্দঘন আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের বার্ষিক চড়ুইভাতি গতকাল শুক্রবার দামুড়হুদার ইব্রাহিমপুর মেহেরুন্নেচ্ছা পার্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেসক্লাব সদস্যদের পারিবারিক এ আয়োজনে আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও দর্শনা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সপরিবারে শরিক হয়েছিলেন।

picnic 008(23-01-15)

প্রেসক্লাবের এ আয়োজনকে অলঙ্কৃত করেছিলেন- জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন, পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান ও বিজিবি-৬’র পরিচালক লে. কর্নেল এসএম মনিরুজ্জামান। গোটা আয়োজনের প্রথম থেকেই খোঁজখবর ও সহযোগিতা করে আসছিলেন বিজিবি পরিচালক। স্ত্রী-সন্তানদের সাথে নিয়ে চড়ুইভাতিতে যোগ দিতে শেষ খবরটিও নিয়েছেন। সব মিলে বাধভাঙা খুশির জোয়ারে ভেসেছিলেন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। অংশগ্রহণকারীদের মাঝে উৎসবের বিশেষ ব্যাজ, আলাদা বৈচিত্র ও পরিচয় বহন করে। প্রেসক্লাবের সদস্যদেরকে নিজ নিজ নামে এবং স্ত্রীদেরকে অপরাজিতা, সন্তানদের প্রিয় প্রজন্ম, আমন্ত্রিতদের মেহমান এবং সম্মানিত অতিথি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিজিবি পরিচালককে স্বনামে উৎসব ব্যাজ পরিয়ে দেয়া হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তিনটি প্রাইভেটকার, একটি মাইক্রোবাস ও চারটি বাস নিয়ে চড়ুইভাতির উদ্দেশে যাত্রা শুরু হয়। যাওয়ার সময় বাসের ভেতরে সদস্যদের মজার মজার ঘটনা, গল্প, কৌতুক ও গান উপস্থাপনের কারণে কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির বহর পিকনিক স্পটে পৌঁছে যায়। সেখানে প্রথমেই অংশগ্রহণকারীদেরকে সাধারণ সম্পাদক সরদার আল আমিন আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান এবং পার্কে চলাচলের বিষয়ে ধারণা দেন। এরপর সকলকে নিয়ে ফটোসেশন করা হয়। ফটোসেশনের পর নাস্তা করে অংশগ্রহণকারীরা জেলার অন্যতম এ পার্কটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। পার্কটিকে সাজাতে অনেকেই নিজেদের মধ্যে নানারকম পরিকল্পনাও আলোচনা করেন। প্রতিভা অনুযায়ী সেখানে কবিতা পাঠ, গান ও কৌতুক পরিবেশিত হয়।

দুপুরের খাবারের পর অপরাজিতাদের (সাংবাদিকদের স্ত্রী) অংশগ্রহণে বাদ্যের তালে তালে বালিশ বদল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যানেল আই ও জনকণ্ঠের সাংবাদিক রাজীব হাসান কচির স্ত্রী প্রথম, এটিএন বাংলার প্রতিনিধি রফিক রহমানের স্ত্রী প্রথম রানারআপ এবং একাত্তর টিভির প্রতিনিধি এমএ মামুনের স্ত্রী দ্বিতীয় রানারআপ হন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হাত থেকে তারা পুরস্কার নেন।

সবশেষে শুরু হয় ৱ্যাফেল ড্র। এ পর্বটি পরিচালনা করেন- প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহ আলম সনি ও নিউএজ পত্রিকার প্রতিনিধি বেলাল হোসেন। ৱ্যাফেল ড্র পর্বে চড়ুইভাতিতে অংশগ্রহণকারী সকলকেই পুরস্কৃত করা হয়। তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেকেই কুপনবাক্স থেকে কুপন তুলে নিজের পুরস্কারটি নির্বাচন করেন।

দিনভর আনন্দ আয়োজন শেষে সন্ধ্যায় আবারো চড়ুইভাতির বহরটি চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে এসে পৌঁছায়। এরপর অংশগ্রহণকারীরা ফিরে যান আপন ঠিকানায়। যাওয়ার আগে দাবি করেন- আগামীতে এ ধরনের পারিবারিক আয়োজন যেন অব্যাহত থাকে।