চুয়াডাঙ্গায় তিন দিনব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিই পারে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে যুগোপযোগী পদক্ষেপ প্রচারের লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গায় ৩ দিনব্যাপি ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘দেশ গড়বো ডিজিটাল, সেবা হবে নির্ভেজাল’ স্লোগানকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগ ও অর্জনসমূহ আরো বেশি সংখ্যক ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, বিজ্ঞানের সাথে আমরা যতোই সম্পর্কিত হতে পারবো ততোই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। নিত্য নতুন প্রযুক্তির সাথে যতো পরিচিত হতে পারবো, ততোই জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারবো, জনগণের কাছে তথ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারবো, কৃষকের কাছে কৃষি বিষয়ক তথ্য পৌঁছে দিয়ে কৃষি উৎপাদনে বিপ্লব সাধনে উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের সেবা ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন ধরনের বাস্তবমুখি সেবামূলক কার্যক্রম চালু করেছে। দেশের তরুণ সমাজ যেভাবে উদ্ভাবনী নিত্য-নতুন প্রযুক্তির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে তাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল গড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার যে রূপকল্প ঘোষণা দিয়েছেন তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে। ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে গ্রামীণ ও শহরের জনগণ সহজেই সরকারি ফরম, নোটিশ, জমির পর্চা, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন বিষয়ক তথ্য, নাগরিকত্ব সনদপত্র, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলসহ অন্যান্য তথ্য সহজেই পাচ্ছে। মেলায় এ সকল বিষয়ের তথ্য জনসাধারণের মধ্যে উন্মুক্তভাবে বিকাশ ঘটানো ও প্রচার করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ হামিম হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনজুমান আরা, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এসএম ইস্রাফিল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটির সিএসই খন্দকার তগদীর আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নাসিমা তাবাসুম মীম ও গিতা পাঠ করেন নবম শ্রেণির ছাত্রী মায়া রানী হালদার। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন সহকারী কমিশনার সৈয়দা নাফিস সুলতানা। মেলায় বিভিন্ন দফতরের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। মেলায় এনজিও, মোবাইল অপারেটরসহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ৩৯টি স্টল রয়েছে। এছাড়া থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ইনোভেশন সেমিনার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। মেলা প্রতিদিন বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।