পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা : চালক পুলিশ কনস্টেবল আহত

চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত পুলিশ সদস্যের খাবার দিয়ে পুলিশ লাইনে ফেরার সময় বাধা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলায় গাড়িচালক পুলিশ কনস্টেবল খন্দকার জিন্নাত আলী (৪৫) আহত হয়েছেন। গতরাত সাড়ে ৮টার দিকে কেদারগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের অদূরে ১ নং পানির ট্যাঙ্কের নিকট এ ঘটনা ঘটে। এছাড়াও প্রায় একই সময় জেলা শহরের শহীদ আবুল কাশেম সড়কের প্রধান ডাকঘরের অদূরে এবং নতুনবাজার এলাকায় কয়েকটি ককটেল বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। চলমান অনির্দিষ্টকালের অবরোধের মাঝে আজ থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতলের পূর্বরাতে বোমা হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণে জনমনে আতঙ্ক ছড়ায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানাসহ শহরের কয়েকটি স্থানে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের রাতের খাবার দিয়ে ওই পুলিশ ভ্যানটি হাটকালুগঞ্জ এলাকাস্থ জেলা পুলিশ লাইনে ফিরছিলো। কোর্টমোড় পেরিয়ে ১ নং পানির ট্যাঙ্ক অতিক্রমের সময় পুলিশের গাড়ির সামনে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। বোমাটি পুলিশের গাড়ির সামনের অংশে লেগে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। তড়িঘড়ি এলাকা ত্যাগ করার সময় হামলাকারীরা আরও একটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল খন্দকার জিন্নাত আলীর ডান হাত থেকে ডান উরুর বিভিন্ন স্থানে স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। দ্রুত তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন খবর পেয়ে হাসপাতালে আহত পুলিশ কনস্টেবলকে দেখতে যান। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মাসুদ রানা জানিয়েছেন জিন্নাত আলী আশঙ্কামুক্ত। পুলিশ সুপার এ ঘটনার জন্য অবরোধকারীদের দায়ী করে রাতেই এ বোমা হামলার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান শুরু হবে বলে জানান। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) ওসি তদন্ত কামরুজ্জামান জানান, ঘটনার পর থেকে হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। তবে গতরাত দেড়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তেমন কাউকে গ্রেফতারের খবর জানা যায়নি। রাতে মামলাও রুজু হয়নি বলে জানা গেছে।

একই সময়ে চুয়াডাঙ্গা শহরের প্রধান ডাকঘরের সামনে ও কেদারগঞ্জ বাজারে দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা চালায়। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম কামরুজ্জামান খান বলেন, হামলা দুটি ছিলো ককটেল হামলা। তবে এ ঘটনার পর থেকে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আহত পুলিশ কনস্টেবল খন্দকার জিন্নাত আলী নড়াইল জেলার মাখরাইল গ্রামের খন্দকার মুনছুর আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশে কর্মরত।