দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান ও দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াতের ইউনিয়ন আমির শরিফুল আলম মিল্টন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল তারা কারাগার থেকে বের হন।
মামলাসূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান (৫৫), ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের (৫০), দামুড়হুদা উপজেলা জামায়াতের আমির নায়েব আলী (৪৮) ও দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিল্টনসহ জামায়াত-শিবিরের ২১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গত ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে আজিজুর রহমান ও মিল্টন ৪ সপ্তার আগাম জামিন নিয়ে আসেন। সে মোতাবেক গত ২৫ নভেম্বর সোমবার আজিজুর রহমান ও শরিফুল আলম মিল্টন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত মঙ্গলবার শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। পুনরায় আবার হাইকোর্ট জামিনের আবেদন করলে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৮ মে সন্ধ্যায় দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান জামায়াতের ইউনিয়ন আমির শরিফুল আলম মিল্টনের বাড়িতে জামায়াতের নেতাকর্মীরা সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক করছিলেন। গোপনসূত্রে সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সকলে পালিয়ে গেলেও শরিফুল আলম মিল্টনকে আটক করা হয়। পরে আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা ও গুলিসহ জেহাদি বই উদ্ধার দেখিয়ে শরিফুল আলম মিল্টনকে আদালতে সোপর্দ করে। পরে এসআই আবু জাহের বাদী হয়ে ৩ জনের নামে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন এবং একই সাথে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রুজু করার জন্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করেন। রাষ্টপতি আবেদন মঞ্জুর করলে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর জামায়াত-শিবিরের ২১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এ মামলাটি রুজু করার দু দিন পর থানা আমির নায়েব আলী ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের গ্রেফতার হন। বর্তমানে তারা জেলহাজতে আছেন। শরিফুল আলম মিল্টন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ইতঃপূর্বে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। রোববার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান এবং গতকাল সোমবার দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান ও জামায়াতের ইউনিয়ন আমির শরিফুল আলম মিল্টন চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে জামিতে মুক্ত হন।